জেনারেল ডায়ার কে হতে বলেছে? মুঙ্গেরের বিসর্জনের গুলি নিয়ে মন্তব্য তেজস্বীর

বিহারের নির্বাচনের ঠিক আগে মুঙ্গেরে দুর্গা ঠাকুর বিসর্জনের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়। আর তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।

Written by SNS Patna | October 29, 2020 12:14 pm

আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। (Photo: IANS)

বিহারের নির্বাচনের ঠিক আগে মুঙ্গেরে দুর্গা ঠাকুর বিসর্জনের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়। আর তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তিনি এদিন বলেছেন, এই ঘটনার পেছনে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের মজত রয়েছে। কে ওদের জেনারেল ডায়ার হওয়ার অনুমতি দিয়েছে? 

আর একটা টুইট করা ছাড়া সুশীল মােদি আর কি করেছেন? একটি বিশেষ সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল বিরােধী জোটের পক্ষ থেকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস ও বামেদের প্রতিনিধিরাও। সেখানেই তেজস্বী গােটা ঘটনার জন্য হাইকোর্টের নজরদারিতে তদন্তের দাবি করেন।

নির্বাচনের ঠিক আগে গত সােমবার তুমুল অশান্তি ছড়ায় বিহারে। সেই অশান্তির কেন্দ্রে ছিল দুর্গা পুজোর বিসর্জন। সোমবার দুর্গাপুজোর বিসর্জন কেন্দ্র করে ভয়াবহ গােলমাল শুরু হয়েছিল। ঘটনার একটি ভিডিও সােশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় পুলিশ লাঠিচার্জ করছে। কিন্তু পরে খবর পাওয়া যায় পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ গুলিও চালায়। 

বুধবারই বিহারে প্রথম দফার নির্বাচন শুরু হয়েছে। তার মধ্যে মুঙ্গেরও রয়েছে। ভােটের মুখেই পুলিশের এই লঠি ও গুলি চালানাে নিঃসন্দেহে গভীর প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে মানুষের মনে। তারপর খবর আসে পুলিশের চালানাে গুলিতে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। একটি রিপাের্ট অনুসারে অন্তত ২৭ জন আহত হয়েছেন। 

পাল্টা পুলিশের বয়ানে বলা হয়েছে এই বিসর্জনে বেশ কিছু সমাজবিরােধী জড়াে হয়েছিল। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। তাতে ২৩ জন পুলিশকর্মী আহত হন। সেই সময় গােলমাল নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। ঘটনায় মৃতের নাম অনুরাগ পােদ্দার। তিনি ওই বিসর্জন দলের সঙ্গেই যাচ্ছিলেন। 

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটাস্থল থেকে পিস্তল ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মােদি দাবি করেছিলেন, ঘটনাটি দুর্ভাগ্য জনক। নির্বাচন কমিশন যেন গােটা ঘটনা তদন্ত করে দেখে। এলজেপি নেতা চিরাগ পাসােয়ান বলেছেন, বিহারে তালিবানি শাসনের মতাে শাসন চালাচ্ছেন নীতীশ কুমার। মুঙ্গের পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা শুরু হওয়া উচিত। স্থানীয় এসপি-কে এখনই সরিয়ে দিয়ে তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা দরকার। মৃতের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজনকে চাকরি দিতে হবে।