• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

অবশেষে হতে চলেছে ভারত-মার্কিন বাণিজ্যচুক্তি

২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরই ভারতসহ অন্যান্য অনেক দেশের উপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো হয়েছিল।

ম্ভবত আগামী ৮ জুলাই সই হতে চলেছে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তি। ২৬ জুন, বৃহস্পতিবার, ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত ‘বিগ বিউটিফুল ইভেন্ট’ নামে একটি সমাবেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তির কথা উল্লেখ করেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী চুক্তির সমস্ত শর্ত মেনে নিয়েছে দুই দেশই। এই চুক্তি সই করা হলে দু’টি দেশই অনেক পণ্যের উপর শুল্কছাড় পাবে।

ট্রাম্প ভারত ও আমেরিকার বাণিজ্যচুক্তি ঘোষণা করার আগে চারদিন ধরে চলেছিল এই চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনা। ভারত থেকে যাঁরা প্রতিনিধি হিসেবে ওয়াশিংটনে গেছিলেন মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে চুক্তি-বিষয়ক আলোচনা করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন ভারতের বাণিজ্য বিভাগের বিশেষ কর্মসচিব রাজেশ আগরওয়াল। ট্রাম্পের ঘোষণা থেকে আভাস পাওয়া গিয়েছে যে, ভারতীয় এবং মার্কিন প্রতিনিধিদের মধ্যে চুক্তিসংক্রান্ত আলোচনা সফল হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প তাঁর ভাষণে ঘোষণা করেছিলেন যে, সমস্ত দেশই আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করতে আগ্রহী। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই আমেরিকা চিনের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সেরে ফেলেছে এবং বিশ্বের নজর কাড়ার মতন আরও একটি চুক্তি আমেরিকা স্বাক্ষর করতে চলেছে ভারতের সঙ্গে। এটি হতে চলেছে ভীষণ বড় মাপের একটি বাণিজ্যচুক্তি।

Advertisement

ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে ব্যবসার অঙ্ক ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩২ বিলিয়ন ডলার। সুতরাং দেখা যাচ্ছে ভারতই হল আমেরিকার প্রধান বাণিজ্যিক সহযোগী। ভারত ও আমেরিকার বাণিজ্যচুক্তির ফলে দু’টি দেশই কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের উপর শুল্কছাড় দেবে। ২০১৭ সালে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরই ভারতসহ অন্যান্য অনেক দেশের উপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো হয়েছিল। ১০% বাধ্যতামূলক শুল্কের পাশাপাশি আরও ২৬% শুল্ক চালু করার কথা বলা হয়েছিল ভারতীয় পণ্যের উপর এই বছরের এপ্রিল মাস থেকে। কিন্তু সেই শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই ভারত-আমেরিকা চুক্তির ইঙ্গিত দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই চুক্তি বাস্তবে কার্যকর হলে ভারত থেকে আমেরিকায় রপ্তানিকৃত চামড়ার জিনিসপত্র, গয়না, চিংড়ি, রাসায়নিক দ্রব্য, ফল, বস্ত্র, প্লাস্টিক, তৈলবীজ ইত্যাদির উপর কর কমবে।
অন্যদিকে, আমেরিকার ক্ষেত্রে ভারত কর কমাবে ওই দেশ থেকে আসা দুগ্ধজাত দ্রব্য, ইলেকট্রিক যান, মদ ইত্যাদি পণ্যের উপর। দীর্ঘ আলোচনার পর দু’দেশই শুল্ক-সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে একপ্রকার সমঝোতায় এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

Advertisement