ঘূর্ণিঝড় বায়ুর আগমনের পূর্বাভাস,কড়া সতর্কতা জারি

আরব সাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপের জেরে আগামি কয়েকদিনের মধ্যে সুরাতের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি নিম্নচাপ উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়ার আগে শক্তি বৃদ্ধি করে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে চলেছে বলে পূর্বাভাস দিয়ে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

Written by SNS New Delhi | June 12, 2019 2:39 pm

প্রতীকী ছবি(Getty Images)

আরব সাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপের জেরে আগামি কয়েকদিনের মধ্যে সুরাতের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি নিম্নচাপ উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়ার আগে শক্তি বৃদ্ধি করে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে চলেছে বলে পূর্বাভাস দিয়ে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে।দিল্লির মৌসম ভবনের তরফে সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে,আরব সাগরের ওপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে।

সুরাত ও কচ্ছের উপকূলবর্তী এলাকায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ঘন্টায় ১১০ কিলােমিটার বেগে ঝড় ধেয়ে আসবে।ঘূর্ণিঝড় বায়ুর জেরে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।প্রশাসনের তরফে সকাল থেকে কচ্ছ ও সুরাতে জাতীয় বিপর্যয় মােকাবিলা বাহিনী মােতায়েন করা হয়।পাশপাশি বায়ুসেনা,নৌবাহিনী,উপকূলরক্ষী বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।গুজরাত প্রশাসনের তরফে মত্স্যজীবীদের কয়েকদিন সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।বন্দর এলাকায় কড়া সতর্কতা জারি করে ফ্ল্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।পােরবন্দরের জেলা শাসক বলেছেন ১১০৭ জন মৎস্যজীবী সমুদ্র থেকে ২৩৬টি ট্রলার নিয়ে ফিরে এসেছেন।কিন্তু ৪৫ জন মৎস্যজীবী ও পনেরােটি নৌকা এখনও সমুদ্রে রয়েছে।তাদেরকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর জয়ন্ত সরকার বলেন,১৩ ও ১৪ জুন সুরাত ও কচ্ছে ভারি বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।আরব সাগরে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে,যে কোনও মুহুর্তে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে,তাই আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে’।প্রশাসনিক স্তরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে জাতীয় বিপর্যয় মােকাবিলা বাহিনীর ১৫টি টিমকে মােতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।শুল্ক দফতরের সচিব পঙ্কজ কুমার বলেছেন,“সমস্ত জেলা শাসককে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে,দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।

ঘূর্ণিঝড় বায়ু ধেয়ে আসার সতর্কতা জারি হওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ  গুজরাতের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সম্ভাব্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় বায়ু থেকে রক্ষা পেতে কি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তিনি পর্যবেক্ষণ করে দেখেন।নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের কিভাবে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় সরানাে যায় তার জন্য সম্ভাব্য পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।২৬টি জাতীয় বিপর্যয় মােকাবিলা টিম মােতায়েন করা হয়েছে।উদ্ধারকারীদের নৌকা,গাছ কাটার মেশিন ও টেলিযােগাযােগ ব্যবস্থা তৈরি করতে বলা হয়েছে।

গুজরাত প্রশাসনের অনুরােধে জাতীয় বিপর্যয় মােকাবিলা বাহিনীর তরফে আরও ১০টি টিম পাঠানাে হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রাজ্য সরকারগুলাের সঙ্গে যােগাযোগ রাখছে। ঘূর্ণিঝড় বায়ু সুরাতে আছড়ে পড়লেও মহারাষ্ট্র , গােয়া , কর্ণাটক , দমন ও দিউতে প্রভাব পড়বে।সেনা,নৌ বাহিনী,বায়ু সেনা,উপকূলরক্ষী বাহিনীকে তৈরি থাকতে বলা  হয়েছে।হেলিকপ্টার থেকে নজরদারি চালানাে হচ্ছে।কন্ট্রোল রুম খুলে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।