নাগরিকত্ব আইনের সমালোচনায় মুখর মার্কিন মানবাধিকার রক্ষা কর্মী ও সমাজকর্মীরা

ভারতের নাগরিকত্ব আইনকে ‘সংখ্যালঘু বিরােধী’ বলে মন্তব্য করলেন মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী মানবাধিকার রক্ষা কর্মী ও সমাজ কর্মীদের একাংশ।

Written by SNS Washington | January 30, 2020 3:35 pm

ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড জয়ী সন্দীপ পান্ডে। (Photo: IANS)

ভারতের নাগরিকত্ব আইনকে ‘সংখ্যালঘু বিরােধী’ বলে মন্তব্য করলেন মার্কিন মুলুকে বসবাসকারী মানবাধিকার রক্ষা কর্মী ও সমাজ কর্মীদের একাংশ। তাঁদের মতে, সংখ্যালঘুদের নিশানা করতে আইনটি নিয়ে আসা হয়েছে। ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড জয়ী সন্দীপ পান্ডে দাবি করেন, দুনিয়ার সবথেকে বৃহত্তম গণতন্ত্রে বাক স্বাধীনতা বিপন্ন। ভারতীয় সংসদে গত ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব সংশােধনী বিলটি পাশ করানাে হয়।

সংশােধিত নাগরিকত্ব আইন মােতাবেক, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রতিবেশি বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সিদের ভারতীয় নাগকিত্ব দেওয়া হবে।

ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ে আয়ােজিত বৈঠকে ‘ভারতের নাগরিকত্ব আইন কার্যকরী’ শীর্ষক আলােচনা হয়। সেখানে বিশিষ্ট মানবাধিকার রক্ষা কর্মী ও সমাজ কর্মীরা দাবি করেন, ভারতে বাক স্বাধীনতা বিপন্ন।

পান্ডে বলেন, ‘সমাজ কর্মী হিসেবে সাতাশ বছর কাজ করছি, যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। মৌলিক অধিকার খর্ব করা হলে তার ফলাফল কি হতে পারে’। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিকত্ব আইন বিরােধী প্রতিবাদ সভায় সাভারকারকে নিয়ে কুমন্তব্য করায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সন্দীপ পান্ডেকে গ্রেফতার করেছে।

ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল, দ্য হিন্দুস ফর হিউম্যান রাইটস, দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন ও আমেরিকান মুসলিম অ্যাডভোকসি বডি এমগেজ অ্যাকশন আলােচনা সভার আয়ােজন করেছিল।