দুষ্কৃতী দমনে কড়া ভূমিকা নিচ্ছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। রাজ্যজুড়ে ‘অপারেশন ল্যাংড়া’ নামে বিশেষ তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। মাত্র ১০ দিনে মধ্যে ঘটেছে ২০টি এনকাউন্টার। এই সংঘর্ষগুলিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে অন্তত ১০ জন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। সূত্রের খবর, নিহতদের মধ্যে কারও মাথার দাম ছিল ৫ লক্ষ, কারও আবার ১ লক্ষ টাকা।
পুলিশের দাবি, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং অপরাধ দমনেই এই বিশেষ অভিযান। গত ৪৮ ঘণ্টাতেই সংঘর্ষ হয়েছে অন্তত ২০টি, যার মধ্যে অধিকাংশ ঘটনাই ঘটেছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। সম্প্রতি কৌশাম্বী জেলায় এক নববিবাহিতাকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পালানোর চেষ্টার সময় তাঁর পায়ে গুলি লাগে এবং বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
Advertisement
৯ অক্টোবর রবার্টসগঞ্জ জেলার কোতওয়ালি থানার পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযানে তিন জন দুষ্কৃতী আহত অবস্থায় ধরা পড়ে। এর আগের দিন, ৮ অক্টোবর বরেলির কাসগঞ্জে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় এক দুষ্কৃতীর। রাজ্য পুলিশের দাবি, লাগাতার এনকাউন্টারে ভয়ে আত্মসমর্পণও করছে অনেক দুষ্কৃতী।
Advertisement
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বারবারই রাজ্যে অপরাধের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বলে এসেছেন। তাঁর প্রশাসনের দাবি, এই কড়া অবস্থানের ফলেই দুষ্কৃতী কার্যকলাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত আট বছরে উত্তর প্রদেশে এনকাউন্টারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪,৯৭৩-এ। পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৩৯ জন দুষ্কৃতীর।
‘অপারেশন ল্যাংড়া’ নামটি যদিও প্রশাসনের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি, তবে পুলিশের অন্দরমহলে এই নামেই পরিচিত এই অভিযান। এই অভিযানে ঘটা এনকাউন্টারে আহত দুষ্কৃতীরা পায়ে গুলি খেয়ে ‘ল্যাংড়া’ হয়ে পড়েন।
Advertisement



