• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

উন্নাও : যাবজ্জীবন সাজা কুলদীপ সেঙ্গারের

উন্নাও ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত কুলদীপ সেঙ্গারের যাবজ্জীবনের সাজা শােনাল দিল্লির তিস হাজারি আদালত।

কুলদীপ সিং সেঙ্গার। (File Photo: IANS)

উন্নাও ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত কুলদীপ সেঙ্গারের যাবজ্জীবনের সাজা শােনাল দিল্লির তিস হাজারি আদালত। একই সঙ্গে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়েছে তার। গত ১৬ ডিসেম্বর উন্নাও কাণ্ডে বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল দিল্লির তিস হাজারি আদালত।

২০১৭ সালে জুন মাসে এক নাবালিকা কিশােরীকে প্রথমে ধর্ষণের অভিযােগ উঠেছিল কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে। কিন্তু বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতায় এতদিন সময় লেগে গেল সাজা ঘােষণা হতে। তার মাঝে বয়ে গেছে বহু ঘটনাপ্রবাহ। নিজের বাবাকে হারিয়েছেন ধর্ষিতা। হারিয়েছে কাকিমা ও বােনকে। নিজে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেছে কেবল ধর্ষিতা হওয়ার অপরাধে।

Advertisement

বছর দুয়েক আগে নাবালিকা মেয়েটিকে প্রথমবার গণধর্ষণের অভিযােগ উঠেছিল প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে। অভিযােগকারিণী তরুণীর দাবি, ২০১৭ সালের জুন মাসের চার তারিখে একটি চাকরির জন্য স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে উন্নাওয়ে ওই বিধায়কের বাড়িতে গেলে ধর্ষিতা হন তিনি। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৬।

Advertisement

তরুণীর পরিবার অভিযােগ করে, এক সপ্তাহ পরে ১১ জুন ফের গ্রামের দুই যুবক ওই কিশােরীকে ফের অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাঁকে ফের গণধর্ষণ করে সেঙ্গারের ঘনিষ্ঠরা। ২০ জুন থানায় অভিযােগ দায়ের হলে, কিশােরীর বয়ানের ভিত্তিতে শুভম সিং, নরেশ তিওয়ারি এবং ব্রিজেশ যাদব নামে তিন জনকে গণধর্ষণ ও পকসাে আইনে গ্রেফতার করা হয়। পরে জানা যায়, ৪ তারিখে অভিযুক্ত শুভম সিংয়ের মা শশী সিংই সেই প্রথম দিন ওই কিশােরীকে সেঙ্গারের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন সব জেনেশুনে।

তারপর বহুবার সেঙ্গারের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযােগ করতে গেলেও পুলিশ সে অভিযােগ নেয়নি বলে দাবি তরুণীর পরিবারের। শেষমেশ অভিযােগ নিলেও, অগ্রগতি হয়নি তদন্তের। পরিবারের দাবি, ফের অভিযােগ করতে গেলে, উল্টে কুলদীপ সেন্সারের দায়ের করা মিথ্যে এফআইআরের ভিত্তিতে তরুণীর বাবাকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অস্ত্র আইনে ভূয়াে অভিযােগ আনা হয়েছিল বলে অভিযােগ পরিবারের।

৩ এপ্রিল তাঁকে গ্রেফতার করে বন্দি করা হয় উন্নাও জেলে। অভিযােগ, সেখানে লাগাতার অত্যাচার চলতে থাকে তাঁর উপর। বিচার পাওয়া দূরের কথা, বিচার চাওয়ার অপরাধেই যেন মার খেতে হল ধর্ষিতার বাবাকে। কোনওভাবেই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে না পেরে, প্রায় এক বছর পরে, ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল নিগৃহীতা কিশােরী ও তাঁর মা মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যােগীর বাড়িতে গিয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তখনই সংবাদমাধ্যমের সামনে আসে ঘটনাটি।

Advertisement