• facebook
  • twitter
Sunday, 8 December, 2024

পরিবারের অবিবাহিত কন্যারা বাবা – মায়ের কাছ থেকে ভরণপোষণ পাওয়ার অধিকারী , পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

প্রয়াগরাজ, ১৮ জানুয়ারি –  পরিবারের অবিবাহিত কন্যারাও তাদের বাবা – মায়ের কাছ থেকে ভরণপোষণ ভাতা পাওয়ার অধিকারী। এমনি পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের। মেয়েরা যে ধর্ম বা বয়সেরই হোন না কেন, তাঁদের পরিবারকে দেশের গার্হস্থ্য সহিংসতা আইনের অধীনে ভরণপোষণ দিতে হবে। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিন বোন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বাবা ও সৎ মা তাঁদের নির্যাতন করছেন। প্রথমে নিম্ন আদালত

প্রয়াগরাজ, ১৮ জানুয়ারি –  পরিবারের অবিবাহিত কন্যারাও তাদের বাবা – মায়ের কাছ থেকে ভরণপোষণ ভাতা পাওয়ার অধিকারী। এমনি পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের। মেয়েরা যে ধর্ম বা বয়সেরই হোন না কেন, তাঁদের পরিবারকে দেশের গার্হস্থ্য সহিংসতা আইনের অধীনে ভরণপোষণ দিতে হবে। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিন বোন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বাবা ও সৎ মা তাঁদের নির্যাতন করছেন। প্রথমে নিম্ন আদালত তিন মেয়ের ভরণপোষণের জন্য অভিভাবকদের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি করেছিল। সেই আদেশের বিরোধিতা করে মেয়েদের বাবা নাইমুল্লাহ শেখ এলাহাবাদ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্টে নাইমুল্লাহর আবেদন খারিজ হয়ে যায় । নিম্ন আদালতের নির্দেশেই সায় দিয়েছে হাইকোর্ট।

এই মামলার শুনানি চলাকালীন মেয়েদের আইনজীবী হাইকোর্টকে জানান, তিন কন্যাই বাবা ও সৎ মায়ের হিংসার শিকার হন। অভিযোগ, তাঁদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হত। এমনকী মারধরও করা হত। দিনের পর দিন লাঞ্ছনার শিকার হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। এই মামলায় হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, বাবার উচিত তাঁর দায়িত্ব পালন করা। তাঁদের ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্টের অধীনে ভরণপোষণ দেওয়া। অন্যদিকে মেয়েদের বাবা নাইমুল্লাহ শেখের আইনজীবীর পাল্টা দাবি, তিন কন্যাই প্রাপ্তবয়স্ক। শুধু তাই নয়, তাঁরা চাকরি করেন এবং নিজেদের খরচ নিজেরাই বহন করতে পারেন।
 
অন্যদিকে অপর একটি মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট সাফ জানিয়েছে, জনসমক্ষে কাউকে ‘পাগল’ বলা অভদ্রতা হতে পারে, কিন্তু ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৪ ধারা, অর্থাৎ শান্তি ভঙ্গের উদ্দেশ্যে অপমানের অধীনে একে অপরাধ বলা যাবে না। এই ক্ষেত্রে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের এক পুরোনো মামলা রায়ের উল্লেখ করেছে। ওই মামলার রায়ে শীর্ষ আদালত বলেছিল, কোনও ব্যক্তির শান্তি নষ্ট করার অভিপ্রায়ে তাঁকে অপমান করা হলে তবেই ভারতীয় দণ্ডবিধির এই ধারায় ওই কাজকে অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। কিন্তু, বর্তমান মামলায় পাগল বলাটা ছিল অনিচ্ছাকৃত স্বতঃস্ফূর্ত মন্তব্য। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আবেদনকারী বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনেছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি ওই মন্তব্য করেছিলেন। এই ক্ষেত্রে, কোন ব্যক্তির শান্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্য ছিল, তা বলা যায় না।হাইকোর্টের বিচারপতি আরও বলেন, প্রায়ই এই ধরনের মন্তব্যগুলি মানুষ করে থাকে। এটা  প্রতিদিনের কথোপকথনের অংশও হতে পারে, যেখানে ইচ্ছাকৃত ভাবে শান্তি ভঙ্গে কোনও অপরাধ থাকে না।