মহারাষ্ট্র কার হাতে থাকবে, সেই ছবিটা এখনও স্পষ্ট হল না। দফায় দফায় বৈঠক হওয়ার পরও এই বিষয়ে কোনও রফাসূত্র পাওয়া যায়নি। সহযোগী বিজেপি এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপির নেতাদের সঙ্গে পূর্বঘোষিত বৈঠক বাতিল করে শুক্রবার সকালে মুম্বই থেকে একনাথ শিণ্ডে চলে গিয়েছিলেন সাতারার গ্রামের বাড়িতে। সেখান থেকেই তিনি চাপ বাড়ালেন বিজেপির ওপর। মহারাষ্ট্রের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর দলের মুখপাত্র সঞ্জয় শিরসত রাতে বললেন, ‘অপেক্ষা করুন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বড় ঘটনা ঘটতে চলেছে।’
শুক্রবার সকালে মুম্বইয়ে মহাজুটির বৈঠকের পরই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু সেই বৈঠকের ঠিক আগে আগে কেন শিণ্ডে চলে গেলেন সাতারায় নিজের গ্রামের বাড়িতে? তিনি কি তবে বিজেপির ভূমিকায় অসন্তুষ্ট? তাহলে কি ফড়ণবিসের জন্য গদি ছাড়তে রাজি নন শিণ্ডে? প্রশ্নগুলি ইতিউতি ঘোরাফেরা করছে মারাঠা ভূমিতে। তার ওপর শিবসেনার মুখপাত্রের এই মন্তব্য জল্পনার পারদ উস্কে দিল।
Advertisement
এখনও পর্যন্ত বিজেপির তরফে কোনও ঘোষণা না হলেও সূত্রের খবর, রবিবার মধ্যরাতে নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সোমবার শপথ নিতে পারেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে শাহ-শিণ্ডের বৈঠকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, মহারাষ্ট্রের বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবিস এবং আর এক বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার হাজির ছিলেন। ছিলেন অজিতের ঘনিষ্ঠ আর এক নেতা প্রফুল প্যাটেল।
Advertisement
শিণ্ডেসেনার একটি সূত্র জানাচ্ছে, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফড়ণবিসকে মেনে নিলেও স্বরাষ্ট্র দফতর কার হাতে থাকবে তা নিয়ে এখনও টানাপড়েন চলছে। নতুন সরকারে কোন দল কী মন্ত্রিত্ব পাবে, তা নিয়ে এখনও জট না কাটায় শিন্ডেশিবির এ বার পাল্টা চাপের রণনীতি নিয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। বিজেপি চাইছে মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফড়ণবিসকে মুখ্যমন্ত্রী রেখে অজিত পওয়ার ও শিণ্ডেকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হোক। কিন্তু শিণ্ডে শিবিরের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী থাকার পর আর উপমুখ্যমন্ত্রী পদ গ্রহণ করা একনাথ শিণ্ডের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে মহারাষ্ট্রের রাশ কার হাতে থাকবে, তার জন্য আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।
Advertisement



