বৃহস্পতিবার দু’দিনের ভারত সফরে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর প্রথম ভারতে আসেন তিনি। শুক্রবার দেশে ফিরে গেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এলাহি আয়োজন করা হয়েছিল দিল্লির তরফে। পুতিনের পর এবার ভারত সফরে আসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সূত্রের খবর অনুযায়ী ৩ বছর ধরে চলা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তির পথ খুঁজতেই দিল্লি আসছেন তিনি। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে ভারতে আসতে পারেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। এই সফরের চূড়ান্ত দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তবে দিল্লির শীর্ষ কর্তারা তারিখ ঠিক করতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত ও ইউক্রেনের আধিকারিকরা বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই ইস্যুতে আলোচনা চালাচ্ছেন। পুতিনের সফরের আগেও এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। রুশ প্রেসিডেন্টের সফরের একমাস পরেই জেলেনস্কির ভারত সফর কূটনৈতিক ভাবে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে দিল্লি। ভারতের তরফে শান্তির পক্ষে বার্তা দেওয়া হয়েছে। সাউথ ব্লকের উপর আস্থা রেখেছে দুই দেশই। যুদ্ধ শেষ করতে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে বার্তা দিয়েছেন জেলেনস্কি ও পুতিন।
Advertisement
তবে জেলেনস্কির ভারত সফরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা কিছুটা মার্কিন প্রেসিডেন্টের শান্তি পরিকল্পনার অগ্রগতি এবং যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি-সহ বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করছে। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত জেলেনস্কির জন্য এই সফর কিছুটা কঠিন বলেও অনুমান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট তিনবার ভারত সফর করেছেন।
Advertisement
১৯৯২, ২০০২ এবং ২০১২ সালে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভারতে এসেছেন। গত বছর প্রধামন্ত্রী মোদী প্রথম ভারতীয় হিসেবে ইউক্রেন গিয়েছিলেন। সেই সময়ই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার পোলিশচুক জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই ভারত সফরে আসবেন জেলেনস্কি। তবে নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। যদি সব ঠিক থাকে তাহলে জানুয়ারিতেই জেলেনস্কির প্রথম ঐতিহাসিক ভারত সফর হবে।
ভারত সফরের পর ইউক্রেন-রাশিয়া আলোচনায় বসলে তা কূটনৈতিক ভাবে দিল্লির জন্য বিরাট জয় হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। পুতিনের সঙ্গে মোদীর সখ্যের কথা কারও অজানা নয়। ট্রাম্পের ভরসা ছেড়ে জেলেনস্কির কাছে এখন মোদীই ‘শান্তির দূত’। দিল্লি এই যুদ্ধ থামিয়ে দিলে বিশ্বের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা যাবে।
Advertisement



