• facebook
  • twitter
Friday, 1 August, 2025

মাওবাদীদের পুঁতে রাখা আড়াই টন বিস্ফোরক উদ্ধার ওড়িশা-ঝাড়খণ্ড সীমানার জঙ্গলে

বিস্ফোরকভর্তি ট্রাক লুটের পর দুই রাজ্যের সীমানায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছিল ওড়িশা পুলিশ, সিআরপিএফ ও ঝাড়খণ্ডের জাগুয়ার ইউনিট।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

গত ২৭ মে ঝাড়খণ্ডের সিংভূমে বিস্ফোরকবোঝাই একটি ট্রাক লুট করে ২৫-৩০ জন মাওবাদীদের একটি দল। খননকাজের জন্য নিয়ে যাওয়া সেই বিস্ফোরক বাকোর খনিতে পৌঁছনোর আগেই ট্রাকটি লুট করে মাওবাদীরা। কিন্তু পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী সেই বিস্ফোরক উদ্ধার তো দূরের কথা, ট্রাক সমেত নিখোঁজ হয়ে যায় গাড়ির চালক ও খালাসি। অনেক তল্লাশি চালিয়েও কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। অবশেষে মাওবাদীদের লুকিয়ে রাখা সেই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হল ওড়িশা-ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া জঙ্গলে।

প্রসঙ্গত খনন কার্যের জন্য নিয়ে যাওয়া এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মাওবাদীদের হাতে হাতে চলে যাওয়ায় চিন্তা বাড়ছিল প্রশাসনিক মহলে। যেকোনও মুহূর্তে বড় ধরনের নাশকতার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তাই ঘটনার পর থেকেই বিস্ফোরক উদ্ধারে ওড়িশা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়। সেই তল্লাশি অভিযানেই আড়াই টন বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের মধ্যে জিলেটিন স্টিকও রয়েছে। সমস্ত বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বিস্ফোরকভর্তি ট্রাক লুটের পর দুই রাজ্যের সীমানায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছিল ওড়িশা পুলিশ, সিআরপিএফ ও ঝাড়খণ্ডের জাগুয়ার ইউনিট। সেই তল্লাশি অভিযানের সময় ওড়িশার-ঝাড়খণ্ড সীমানার সুন্দরগড় জেলার কোইডার জঙ্গল থেকে আড়াই টন বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।

এ ব্যাপারে পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, এই বিস্ফোরকের কোনও হদিশ যাতে না পাওয়া যায়, তার জন্য মাটির অনেকটা নীচে পুঁতে রেখেছিল মাওবাদীরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কোইডার জঙ্গলে তল্লাশি শুরু হয়। উদ্ধার হয় ওই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আরও বেশ কিছুটা বিস্ফোরক এখনও জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা আছে।