রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের লোকসভার মুখ্য সচেতক কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। যদিও এদিনের বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে দিল্লি বিস্ফোরণ ছিল না, তবে কাকলি ঘোষ দস্তিদার স্পষ্ট প্রশ্ন তোলেন, ‘দেশে বারবার এমন নিরাপত্তায় গলদ দেখা যাচ্ছে কেন?’
সূত্রের খবর, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই ইস্যুতে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি, কারণ আলোচ্য বিষয় আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তবে কমিটির সদস্যদের মতামত অনুযায়ী, ভবিষ্যতের কোনও বৈঠকে দিল্লি বিস্ফোরণ এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।
Advertisement
প্রসঙ্গত, পহেলগাম জঙ্গি হামলার পর ছয় মাসও কাটেনি, তার মধ্যেই রাজধানীর বুকে বিস্ফোরণ। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই একে ‘জঙ্গি হামলা’ বলে ঘোষণা করেছে। লালকেল্লার অদূরে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দিল্লি যেমন দেশের রাজনৈতিক কেন্দ্র, তেমনই প্রশাসনিকভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন। সেক্ষেত্রে এমন কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেও বিস্ফোরণ হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিরোধী দলগুলি।
Advertisement
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘ফরিদাবাদ থেকে সম্প্রতি তিনশো কেজিরও বেশি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। এর পরেই দিল্লি বিস্ফোরণ ঘটল। এতে কেন্দ্রের গোয়েন্দা সংস্থার দক্ষতা ও নজরদারি নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।’ তিনি আরও লেখেন, ‘সত্য উদঘাটনে এবং দোষীদের চিহ্নিত করতে আদালতের নজরদারিতে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হোক।’
কাকলি ঘোষ দস্তিদারও এদিন সংসদীয় কমিটির বৈঠকে একই সুরে কথা বলেন, ‘যখন রাজধানীর নিরাপত্তাই সুনিশ্চিত নয়, তখন দেশের সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত, তা ভেবে দেখা দরকার।’
রাজনৈতিক মহলের মতে, দিল্লি বিস্ফোরণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে তৃণমূল আগামী দিনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অবস্থান নেবে। এটি দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক গাফিলতি নিয়ে বিরোধী দলগুলির ঐক্যবদ্ধ কৌশলের ইঙ্গিত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Advertisement



