• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

শুরু ট্রেন পরিষেবা, প্রথম দিনেই যাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজার

করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে দু'মাস বন্ধ থাকার পরে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ট্রেন পরিষেবা। আর প্রথম দিনই টিকিট বুক করেছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ।

প্রতিকি ছবি (Photo: IANS)

করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে দু’মাস বন্ধ থাকার পরে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ট্রেন পরিষেবা। এর আগে ১২ মে থেকে রেলমন্ত্রক ১৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালালেও পরিষেবা কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছে আজ থেকে। আপাতত ২০০ টি ট্রেন চলবে। আর প্রথম দিনই টিকিট বুক করেছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ।

এতদিন শুধুমাত্র বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছিল। এসি কামরা ছাড়া যাতায়াত হচ্ছিল না। কিন্তু আজ থেকে যে ট্রেনগুলি চালু হচ্ছে সেখানে নন-এসি কামরাতেও যাতায়াত হবে। তবে অবশ্যই টিকিট সংরক্ষণ করে। জানা গিয়েছে, গোটা জুন মাসে প্রায় ২৬ লাখ মানুষ যাতায়াত করতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

রেলমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা বলা হয়েছে, রেগুলার যে ট্রেন চলত, সেই ট্রেনই ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে। এইসব ট্রেনে এসি ও নন-এসি কামরা থাকবে। কিন্তু সব আসনই সংরক্ষণ করতে হবে। জেনারেল কোচেও বসে যাওয়ার জন্য আসন সংরক্ষণ করতে হবে কোনও অসংরক্ষিত কোচ থাকবে না।

Advertisement

এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শ্রেণি অনুযায়ী ভাড়া বদলাবে। সেকেন্ড সিটিং (২এস) ও জেনারেল সিটিং (জিএস)-এর ভাড়া সবথেকে কম। তারপর ধাপে ধাপে এসি কোচের ভাড়া বাড়বে। তবে আসন ফাঁকা থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রী বসতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে ওয়েটিং লিস্টে থাকা কিংবা আরএসি থাকা যাত্রীদের আসন কনফার্ম করা হবে।

ট্রেন পরিষেবা শুরু হলেও ট্রেনে যাতায়াতের সময় যাত্রীদের একাধিক নিয়ম মাথায় রাখতে হবে। রেলের তরফে বারবার সে কথা জানানো হয়েছে। এমনকি টিকিট বুক করার সময়ও আইআরসিটিসির ওয়েবসাইটে এই নির্দেশিকা দেখানো হচ্ছে।

শুধুমাত্র যেসব যাত্রী টিকিট সংরক্ষণ করেছেন, তারাই স্টেশনে আসবেন। টিকিট সংরক্ষণ না হলে স্টেশনে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। যাত্রী ছাড়া পরিবারের অন্য কেউ বা বন্ধু বান্ধবকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

আসন ফাঁকা থাকলেও কেউ সেখানে বসতে পারবেন না। কোনও ট্রেনে আসন ফাঁকা থাকলে তার আগে যাদের টিকিট ওয়েটিং লিস্ট বা আরএসি ছিল, তাদের টিকিট কনফার্ম করা হবে। ট্রেন ছাড়ার অন্তত দেড় ঘণ্টা আগে যাত্রীদের স্টেশনে আসতে হবে। প্রথমে তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিং ও অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। যাঁদের উপসর্গ নেই, তাঁদেরই শুধুমাত্র ট্রেনে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে।

যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখতে হবে। এছাড়া প্রত্যেকের ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ইনস্টল থাকা বাধ্যতামূলক।

Advertisement