যানজটের কবলে পড়লেন খোদ দেশের পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি। এমনকী যানজটের জেরে অনুষ্ঠান বাতিল করতেও বাধ্য হন তিনি। গত সোমবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে মহারাষ্ট্রের পুনেতে।
পুনের শনিওয়ার পেট অঞ্চলে যানজটের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে চার লেনের এক ভূগর্ভস্থ টানেল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার স্থানীয় বিধায়ক হেমন্ত রোশনকে সঙ্গে নিয়ে ওই প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন গড়করি। সেই সময় তুমুল যানজটের মধ্যে পড়ে নীতিনের কনভয়। দীর্ঘক্ষণ যানজটের জেরে সেখানে অপেক্ষা করার পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এই অবস্থায় গন্তব্যস্থলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে ইউটার্ন নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, যার জেরে শেষপর্যন্ত বাতিল হয় ওই অনুষ্ঠান।
দেশের মন্ত্রী থেকে শুরু করে ভিভিআইপিদের জন্য অনেক সময়ই গ্রিন করিডোরের ব্যবস্থা করে পুলিশ। এক্ষেত্রে সেই ব্যবস্থা না থাকার কারণেই যানজটের কবলে পড়তে হয় দেশের পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করিকে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর যদি এই হাল হয়, তবে ভয়াবহ এই যানজটে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হয়?
ট্রাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনাটি সোমবারের। ফলে স্বভাবতই রাস্তায় ভিড় ভালোই ছিল। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয় পরিচালনা করা সহজ নয়। এর ফলে বাজিরাও রোড এবং শনিওয়ার ওয়াদার চারপাশে যানজট সৃষ্টি হয়, যদিও সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যায় ট্রাফিক পুলিশ ছিল। সূত্রের খবর, গড়করির বিমান দেরি করে নামার কারণেই সমস্যার সৃষ্টি হয়। সেই সময়ই বৃষ্টির শুরু হওয়ায়, যানজট আরও বড় আকারে ধারণ করে।
সোমবারের সফর বাতিল হওয়ার পর স্থানীয় বিধায়ক হেমন্ত রোশন বলেন, ‘এই যানজট রুখতে আমাদের পরিকল্পনার কথা মন্ত্রীকে জানিয়েছি। প্রকল্পটি কোথা থেকে শুরু হবে, সে বিষয়ে বিশদ তথ্য দিয়েছি। উনি আশ্বাস দিয়েছেন, পরে এই বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবেন।’ পুলিশ ও প্রশাসনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি বিধায়কের। তাঁর কথায়, ‘পুলিশ ও প্রশাসনের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। উনি যে পরিদর্শনে যাচ্ছেন, তা আগে থেকে জানানো হয়নি, যার জেরেই যানজট গুরুতর হয়ে ওঠে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, ওই প্রকল্পটির জন্য নির্ধারিত জায়গা তিনি পরে পরিদর্শনে আসবেন।’
স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার দুটি টানেল তৈরির পরিকল্পনা করেছে। একটি শনিওয়ার ওয়াদা থেকে যাবে স্বর্গগেট পর্যন্ত, অন্যটি সরসবাগ থেকে আসবে শনিওয়ার ওয়াদা পর্যন্ত। ২.৫ কিমির এই টানেল ধরলে শিবাজি রোড ও বাজিরাও রোডের যানজট এড়াতে যাবে।