• facebook
  • twitter
Wednesday, 20 August, 2025

অমরনাথ যাত্রার উপর জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় কাশ্মীরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়

গত ২৯ মে জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে মনোজও নিরাপত্তা ব্যবস্থার পর্যালোচনা করেছেন।

নিজস্ব গ্রাফিক্স

সামনেই অমরনাথ যাত্রা। জঙ্গি হামলা রুখতে তার আগেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। জোর দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থায়। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে কাশ্মীরকে। মোতায়েন ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠকও করেছেন।

প্রসঙ্গত আগামী ৩ জুলাই থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। চলবে ৯ অগস্ট পর্যন্ত। ৩ জুলাইয়ে পুণ্যার্থীদের প্রথম বাসটি শ্রীনগর থেকে ছাড়বে। পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিশেষভাবে নজরে রাখা হচ্ছে। সেজন্য ঢেলে সাজানো হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন শিব’।

জানা গিয়েছে, গত ২৯ মে জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে মনোজও নিরাপত্তা ব্যবস্থার পর্যালোচনা করেছেন। সরকারি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অমরনাথের যাত্রাপথের থ্রিডি ম্যাপিং সেরে ফেলেছে নিরাপত্তাবাহিনী। যাত্রাপথ, বেসক্যাম্প এবং সব ক’টি স্পর্শকাতর এলাকাতেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনা মোতায়েন থাকবে পুণ্যার্থীদের থাকার জায়গাগুলিতেও। নজরদারির জন্য ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়াও বডি স্ক্যানার এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে নজরদারির জন্য। পাশাপাশি নথিভুক্ত পুণ্যার্থীদেরও ‘রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন’ ট্যাগ দেওয়া হবে, যাতে তাঁদের গতিবিধি নজরে রাখা যায়।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগামের বৈসরণ উপত্যকায় নৃশংস জঙ্গি হামলায় ২৫ জন নিরীহ পর্যটক এবং একজন টাট্টু চালকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। ১৫ দিনের মাথায় গত ৭ মে মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানের মাধ্যমে ড্রোন হামলা চালিয়ে পাক পাঞ্জাব ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এরপর পাকিস্তান পাল্টা বদলা নেওয়ার চেষ্টা করতেই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ভারতের একাধিক জায়গায় পাকিস্তান হামলা চালালে মাত্র ৮ ঘন্টার পাল্টা মারে পাকিস্তানের কোমর ভেঙে দেয় ভারত। এরপরই ইসলামাবাদ যুদ্ধবিরতি চেয়ে নয়া দিল্লিকে ফোন করে। কিন্তু যুদ্ধবিরতি হলেও এখনও নাগাড়ে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন পাক সরকারের প্রতিনিধি ও সামরিক কর্তারা। পাশাপাশি, পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি সংগঠন ও তার মাথারা পাল্টা হুমকি দিয়ে চলেছে। সেজন্য ফের পহেলগামের মতো ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখছে ভারতের প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তা।

News Hub