ভারতে করোনা সংক্রমণের সবথেকে খারাপ সময় আসা এখনও বাকি, আশঙ্কা চিকিৎসকদের

ভারতে করোনা সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণ নেই। বরং হু হু করে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা।

Written by SNS New Delhi | June 14, 2020 5:48 pm

প্রতিকি ছবি (Photo: AFP)

ভারতে করোনা সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণ নেই। বরং হু হু করে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের সবথেকে খারাপ সময় এখনও আসা বাকি রয়েছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। সেই আশঙ্কাতেই দিন গুনছে তাঁরা।

দিল্লির ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ডাক্তার দেবেন জুনেজা সংবাদসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, আমরা জানি না কবে এই সংক্রমণের শিখর আসবে। আমরা ভালোর আশা করছি। কিন্তু আরও খারাপ সময়ের জন্য আমরা শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছি। সংক্রমণের সবথেকে খারাপ সময় আসা এখনও বাকি।

আনলক ফেজ ১ শুরু হওয়ার পর থেকেই মানুষ বাড়ির বাইরে বেরতে শুরু করেছে। বিভিন্ন পরিষেবা শুরু হওয়া ও অফিসে কাজ শুরু হওয়ার ফলে বাইরে বেরতেই হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আর তার ফলে সংক্রমণ বাড়ছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার বা তার বেশি মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও।

ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অন্যতম খারাপ অবস্থা দিল্লির। পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি জানিয়েছে, জুলাই মাসের শেষে রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৫ লাখ হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলিতে বেড বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে অন্তত ২০ শতাংশ বেড করোনা আক্রান্তদের জন্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডাক্তার জুনেজা জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে নিজেদের তৈরি রাখছি আমরা। নিজেদের বোঝাচ্ছি। মন শক্ত করছি। সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি রাখছি। গত কয়েক দিন ধরে হাসপাতালের উপর চাপ বাড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে বেড দেওয়ার। আরও অনেক ইউনিটকে করোনা ইউনিট হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। হাসপাতালের বদলে যাচ্ছে।

পিপিই কিট পরে কাজ করার সমস্যার কথা জানিয়েছেন নার্সরা। বিনীতা ঠাকুর নামের এক নার্স জানিয়েছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা পিপিই কিট পরে থাকা খুব কষ্টের। একবার কিট পরে নেওয়ার পর আমরা জল, খাবার খেতে পারি না। বাথরুমেও যেতে পারি না। ওই অবস্থায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে হয়। প্রচুর ঘাম হচ্ছে। গোটা শরীরে লাল লাল দাগ হচ্ছে। জ্বালাপোড়া করছে। কিন্তু তার মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে আমাদের। আর তাই আমাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়ছে।