এক সপ্তাহ আগেই দিল্লিতে আংশিকভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে লকডাউন। তারপর শহরে হু হু করে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
তাঁর বক্তব্য, রাজধানীতে করোনা সংকট নিয়ন্ত্রণেই আছে। যদিও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা যদি বেশি হত কিংবা আক্রান্তদের বেশিরভাগ যদি গুরুতর অসুস্থ হতেন, একমাত্র তাহলেই বলা যেত, পরিস্থিতি উজ্জ্বগজনক।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দিল্লি সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কেও বিস্তারিত জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে এই মুহূর্তে কোভিড ১৯ রোগীদের জন্য ৩৮২৯ টি বেড আছে। অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে ৩১৬৪ টি। প্রায় ১৫০০ বেডে করোনা রোগী ভর্তি আছেন। আড়াই হাজার বেডে কোনও রোগী নেই।
বেসরকারি হাসপাতালগুলি সম্পর্কে তিনি বলেন, সেখানে করোনা রোগীদের জন্য ৬৭৭ টি বেড আছে। তার মধ্যে ৫০৯ টিতে রোগী আছেন। শহরে ১১৭ টি প্রাইভেট হসপিটালকে বলা হয়েছে, অন্তত ২০ শতাংশ বেড যেন করোনা রোগীদের জন্য রিজার্ভ করে রাখা হয়।
কেজরিওয়ালের কথায়, এর ফলে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য আরও ২ হাজার বেড সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, দিল্লিতে করোনা আক্রান্তদের বেশিরভাগের শরীরে রোগের লক্ষণ খুবই মৃদু। অনেকের শরীরে রোগের কোনও লক্ষণই নেই। ৩ হাজারের বেশি রোগী বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছেন।
তাঁর কথায়, যাঁদের রোগ গুরুতর নয় অথবা শরীরে রোগের কোনও চিহ্ন নেই, তাঁরা বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছেন। এরকম রোগীর সংখ্যা ৩৪১৪।
পরে কেজরিওয়াল বলেন, ১৭ মে দিল্লিতে লকডাউন শিথিল করা হয়। প্রশাসন তখনই জানত, এর ফলে কোভিড ১৯ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এক সপ্তাহ বাদে বলা যায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভয়ের কিছু নেই। গত এক সপ্তাহে দিল্লিতে ৩৫০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেরে উঠেছেন প্রায় ১৫০০ জন।