• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

পঞ্জাবে নতুন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চান্নি

রবিবার সন্ধ্যায় কংগ্রেস হাইকমান্ড ঘােষণা করল, পাঞ্জাব্বে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন চরণজিৎ সিং চান্নি। তিনি রামদাসিয়া শিখ সম্প্রদায়ের সদস্য।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী (Photo:SNS)

রবিবার সন্ধ্যায় কংগ্রেস হাইকমান্ড ঘােষণা করল, পাঞ্জাব্বে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন চরণজিৎ সিং চান্নি। তিনি রামদাসিয়া শিখ সম্প্রদায়ের সদস্য। কংগ্রেসের দলিত নেতা চান্নি চামকাউর সাহিব কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৭ সালে ৪৭ বছর বয়সে চান্নি পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-এর মন্ত্রিসভায় স্থান পান।

তাঁকে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জাতপাতের অঙ্কেই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিয়েছে হাইকম্যান্ড। শনিবার অমরেন্দ্র সিংহের পদত্যাগের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসাবে একাধিক নাম উঠে আসছিল, সেই তালিকায় ছিলেন অম্বিকা সােনির মতাে প্রবীণ কংগ্রেস নেতাও মূল ঘােষণার কয়েক ঘণ্টা আগে উঠে আসে সুখজিন্দর সিংহ রনধাওয়ার নামও।

Advertisement

যদিও কংগ্রেস সূত্রে খবর, বিধায়কদের বৈঠকে সুখজিন্দরের নাম নিয়ে আপত্তি জানান কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ক। তাতেই শেষ পর্যন্ত উঠে আসে চরণজিতের নাম। চুড়ান্ত সিলমাের দেয় পঞ্জাব কংগ্রেস ।

Advertisement

রবিবারই রাজভবনে যাওয়ার কথা রয়েছে চরণজিতের। একসময় পাঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সুনীল জাখরের নাম বিবেচনা করে হাইকম্যান্ড। তিনি হিন্দু জাঠ নেতা। পাঞ্জাবে হিন্দু ভােট আছে ৩৮ শতাংশ। সেদিকে নজর রেখেই তাঁর কথা পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ভাবা হয়। পরে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রী অম্বিকা সােনিকেও ওই পদে ভাবা হয়েছিল।

কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। সেই সঙ্গে বলেন, কোনও শিখ ধর্মাবলম্বী যদি মুখ্যমন্ত্রী না হন তাহলে ভােটে বিরূপ প্রভাব পড়বে। পঞ্জাবে শিখ ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ৬২ শতাংশের বেশি।

১৯৬৬ সালে রাজ্য পুনর্গঠনের পরে কোনও হিন্দু সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হননি। চান্নির আগে হাইকম্যান্ড যাঁর নাম মুখ্যমন্ত্রী পদে বিবেচনা করেছিল, তিনি হলেন তিনবারের বিধায়ক সুখজিন্দর সিং রণধাওয়া। তিনি মাঝা অঞ্চলের জনপ্রিয় নেতা। একসময় অমরিন্দর সিং-এর অনুগামী ছিলেন।

পরে প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধুর পক্ষ নেন। তিনি জাঠ শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। পাঞ্জাবে মােট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশই দলিত। তাঁদের ভােটের দিকে নজর রেখেছে অনেকেই।

কৃষি আইন নিয়ে অকালি দলের সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পরে পাঞ্জাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে বিজেপি। তারা এখন দলিত ভােট পাওয়ার লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি নিচ্ছে। দল ঘােষণা করেছে, তারা ক্ষমতায় এলে কোনও দলিত হলে মুখ্যমন্ত্রী।

অকালি দল এবং আপ ঘােষণা করেছে, তারা ক্ষমতায় এলে অন্তত উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হবে কোনও দলিতকে। পর্যবেক্ষকদের মতে, তাদের ওপরে টেক্কা দেওয়ার জন্যই ভােটের আগে এক দলিতকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসাল কংগ্রেস।

Advertisement