মহারাষ্ট্রের মসনদের লড়াই এবার সুপ্রিম কোর্টে

শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস তিনটি দলই মহারাষ্ট্রে বিজেপির সরকার গঠনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি আর্জি দাখিল করে অবিলম্বে শুনানির আবেদন জানিয়েছে।

Written by SNS Mumbai | November 24, 2019 9:08 am

সুপ্রিম কোর্ট (File Photo: IANS)

শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস তিনটি দলই মহারাষ্ট্রে বিজেপির সরকার গঠনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে একটি আর্জি দাখিল করে অবিলম্বে শুনানির আবেদন জানিয়েছে।

শনিবার ভােরের আলাে ফোটার আগেই তড়িঘড়ি মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসনে ইতি টেনে দিয়ে রাজ্যপাল বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশকে সরকার গড়ার অনুমতি দেন। সেই মতাে ফড়নবীশ মহারাষ্ট্রের দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এনসিপি’র অজিত পাওয়ার। তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল।

শিবসেনা, এনসিপি কংগ্রেস এদিন সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দাখিল করে রাজ্যপালের ফড়নবীশ সরকার গঠনের সিদ্ধান্তকে নাকচ করার আবেদন জানিয়েছে। পাশাপাশি আবেদনে এও হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত যেন এই তিনটি দলকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাতে রাজ্যপাল কেশিয়ারিকে যেন নির্দেশ দেয়। কারণ এই তিনটি দল সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে রাজি।

আবেদনে বলা হয়েছে মহারাষ্ট্রে অ-বিজেপি সরকার গঠনের সম্ভান্না দেখে রাজনৈতিক অনৈতিকতার সাহায্যে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে বিজেপিকে সরকার গঠনের অনুমতি দিয়েছেন মাননীয় রাজ্যপাল। শুক্রবারই তিনটি ভিন্ন আদর্শের রাজনৈতিক দল শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস ন্যূনতম কর্মসুচির ভিত্তিতে মহারাষ্ট্রে একটি স্থায়ী সরকার গঠনে উদ্যোগী হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার বেশি রাতে তাদের উদ্যোগকে ব্যর্থ করে শনিবার ভােরবেলায় বিজেপির সরকার গঠন হয়ে গেল যদিও আবেদনকারী তিনটি দলের মিলিত বিধায়ক সংখ্যা হল ১৫৪টি।

আবেদনে আরও জানানাে হয়েছে অজিত পাওয়ারকে বাদ দিয়ে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেসের জোট অটুট আছে। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল এদিন যা করেছেন সেটি পক্ষপাতদুষ্ট এবং তাঁর পদের অবমাননা। আবেদনে আরও অভিযােগ করা হয়েছে যে রাজ্যপাল যা করেছেন সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশেই করেছেন। এদিন সুপ্রিম কোর্ট আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে।

এদিকে, সন্ধ্যায় এনসিপি’র পরিষদীয় দলের নেতার পদ থেকে অজিত পাওয়ারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দলের বৈঠকে। এনসিপি’র শীর্ষ নেতা শরদ পাওয়ার জানিয়েছেন, বিজেপিকে অজিত পাওয়ারের সমর্থন তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে এনসিপি দলের কোনও সম্পর্ক নেই।