ভোট ঘোষণার পরই ৬ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে সরিয়ে দিল কমিশন 

Written by SNS March 18, 2024 7:32 pm

দিল্লি, ১৮ মার্চ – বাংলা-সহ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বড় প্রশাসনিক বদল করল কমিশন।লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তর প্রদেশ, বিহার সহ মোট ছয় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যগুলিতে স্বতন্ত্র, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করানোর লক্ষ্যে এই কড়া পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে। যে ছয় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবদের সরিয়ে দেওয়া হল সেগুলি হল, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড। একই সঙ্গে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে। নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতেই কঠোর পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। এর পাশাপাশি মিজোরাম এবং হিমাচল প্রদেশের প্রশাসনিক সচিবকে অপসারণ করা হয়েছে। বৃহন্মুম্বাই পৌর কর্পোরেশনের কমিশনার ইকবাল সিং চাহাল এবং অতিরিক্ত কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনারদেরও সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের সূত্র উদ্ধৃত করে যে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে , গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে অপসারণের আদেশ জারি করা হয়েছে। গুজরাত এবং উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও উত্তরাখণ্ডে ক্ষমতায় বিজেপি। বিহারে জেডিইউ-বিজেপি জোট। হিমাচলে কংগ্রেস এবং ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস জোট ক্ষমতায়। এ ছাড়াও, মিজ়োরাম এবং হিমাচল প্রদেশের সাধারণ প্রশাসনিক বিভাগের সচিবকেও দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে। উত্তরপূর্বের মিজ়োরামে ক্ষমতায় রয়েছে একদা বিজেপির সহযোগী জ়েডপিএম।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর  অপসারণের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য গুজরাট এবং যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ রয়েছে। ঘটনাচক্রে মোদি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর সাংসদ। ঘটনাচক্রে যে ছ’টি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে সরানো হয়েছে, তা মধ্যে চারটিতে ক্ষমতায় বিজেপি এবং তার জোটসঙ্গীরা।

ভোট ঘোষণার সময়ই প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। ভোট ঘোষণার একমাস আগেই কমিশন প্রতিটি রাজ্যের প্রশাসনের কাছে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, একটানা তিন বছর বা তার বেশি সময় ধরে কোনও একটি নির্দিষ্ট পদে  যে আধিকারিকরা আছেন, ভোটের আগে তাদের সেই পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। ভোট ঘোষণার পরই সেই মতো কাজ করা শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন।
সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই প্রশাসনিক অদলবদল স্বাভাবিক ঘটনা। প্রশাসনের উপরের স্তর থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হল। এরপর, ডিএম-এসপি-সহ আরও নীচুতলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সরিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাঁরা একই পদে ৩ বছরের বেশি সময় ধরে আছেন, বা যাঁদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে, সেই সমস্ত আধিকারিকদের সরানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।