কলকাতা, ১৯ মার্চ – লোকসভা নির্বাচনের মুখে বাংলার ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬টি কেন্দ্রকে ‘অর্থনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে আয়-ব্যয় নিয়ে বিশেষ নজর রয়েছে কমিশনের । এ ক্ষেত্রেও ৬টি কেন্দ্রকে সেই কারণে চিহ্নিত করা হয়েছে। দার্জিলিং, মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, আসানসোল, বনগাঁ এবং কলকাতা উত্তর- এই ছয়টি কেন্দ্রকে ‘ফিনান্সিয়ালি সেনসিটিভ’ বা অর্থনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলির উপর এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলোর বাড়তি নজর থাকবে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
লোকসভা ভোট ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। পশ্চিমবঙ্গে সাত দফায় ভোট হবে । ৪২ টি কেন্দ্রের কোথায়, কবে ভোট, তা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে । তবে এই ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬টি কেন্দ্রের দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। দার্জিলিং, মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, আসানসোল, বনগাঁ এবং কলকাতা উত্তর- এই ছয়টি কেন্দ্রকে ‘ফিনান্সিয়ালি সেনসিটিভ’ বা অর্থনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। মূলত আগের নির্বাচনের বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই কেন্দ্রগুলিতে টাকা উদ্ধার, মদ বাজেয়াপ্ত হওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে। এই কেন্দ্রগুলির উপর এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলোর বাড়তি নজর থাকবে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার আগেই বলে দিয়েছিলেন, ভোট নজরদারিতে এবার ইডি-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়ে পোর্টাল তৈরি করা হবে। নির্বাচনে কোনওভাবেই অর্থনৈতিক শক্তিকে বরদাস্ত করা হবে না । রাজ্যে যতগুলো হেলিপ্যাড, বিমানবন্দর রয়েছে, সেখানে কড়া নজরদারি থাকবে কমিশনের। কমিশনের নির্দেশ, জেলাশাসক যখন কোনও হেলিকপ্টার কিংবা বিমানকে অবতরণের সবুজ সঙ্কেত দেবেন, তখন খবর ইনকাম ট্যাক্স ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকেও দিতে হবে।
লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। জেলাশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, আদর্শ আচরণ বিধি কার্যকরসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
