• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

দিওয়ালি এবং ২৬ জানুয়ারি ছিল হামলার পরিকল্পনা

দিল্লির ঘটনায় ধৃত মুজাম্মিলকে জেরা করে মিলেছে একাধিক তথ্য

ছবি: এনএনআই

সোমবার, ১০ নভেম্বর ৬টা ৫৫ মিনিটে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল দিল্লি। ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। হতাহত একাধিক। সেই ভয়াবহতার রেশ এখনও রয়েছে দিল্লিবাসীর মনে। দিল্লি বিস্ফোরণে মূল মাথা হিসেবে মনে করা হচ্ছে উমর নবিকে। গাড়ি বিস্ফোরণে মৃত। এই ঘটনায় আগেই তিন চিকিৎসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

বুধবার সকালে তাজামুল আহমেদ মালিক নামে আরও এক চিকিৎসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দিল্লি বিস্ফোরণে মূল অভিযুক্ত মুজাম্মিলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে এসেছে বিস্ফোরক সব তথ্য। ২৬ জানুয়ারি, সাধারণতন্ত্র দিবসে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল বলে খবর। আর সেই উদ্দেশে লালাকেল্লায় রেইকিও করা হয় বলে সূত্রের খবর। এছাড়া দিওয়ালিতেও জনবহুল স্থানে বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছিল বলে জানতে পারা গেছে। তবে তা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।

Advertisement

আল ফালাহ মেডিক্যাল থেকে ধৃত চিকিৎসক মুজাম্মিলকে জেরা করেই মিলেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য দাবি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। ফরিদাবাদ থেকে ধৃত সন্দেহভাজন চিকিৎসক মুজাম্মিলের ফোনের ডেটা থেকে মিলেছে একাধিক তথ্য। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, জেরায় মুজাম্মিল পুলিশকে জানিয়েছে, প্রথমে দিওয়ালিতে দিল্লির জনবহুল জায়গায় নাশকতার ছক কষা হয়েছিল।পরে সেই পরিকল্পনা বাতিল করে আরও বড় নাশকতার ছক কষা হচ্ছিল।

Advertisement

দিওয়ালিতে নাশকতার ছক বানচাল করার পর আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসকে টার্গেট করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ১৫ অগস্ট লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। ২৬ জানুয়ারি রেড রোডে প্যারেডের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী-সহ দেশ-বিদেশের ভিভিআইপি অতিথিরা। গুরুত্বপূর্ণ সেই দিনেই হামলার প্রস্তুতি হিসেবেই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

দিল্লি বিস্ফোরণের পরেই দেশজুড়ে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। বুধবার সকালেও বিস্ফোরণের স্থানে রয়েছে কড়া প্রহরা। দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গাতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তদন্তে উঠে এসেছে, মূলত ফরিদাবাদের আল ফালা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক রয়েছে এই নাশকতার নেপথ্যে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ একে ‘হোয়াইট কলার টেরর ইকোসিস্টেম’ বলে অভিহিত করেছেন। ধৃত মুজাম্মিলকে জেরা করে আরও তথ্য জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সামাজিক তথা দাতব্য কাজের আড়ালে সন্ত্রাসের তহবিল চালানো হচ্ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement