আসিয়ান বাণিজ্য চুক্তি আরসিইপি হবে বিশ্বের বৃহত্তম

২০১২ সালে আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে ও ছয় অংশীদার দেশের আরসিইপি নিয়ে আলােচনা শুরু হয় নম পেনে একংকিশতম আসিয়ান সম্মেলনে।

Written by SNS New Delhi | November 5, 2019 12:54 pm

আসিয়ান সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রনেতারা। (Photo: IANS/PIB)

দশ সদস্যের অ্যাসােসিয়েশন অফ সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনস বা অ্যাসিয়ান দেশগুলি ও ব্লকের ছ’টি বাণিজ্যের অংশীদার দেশ— সব মিলিয়ে ষোলােটি দেশের মধ্যে সাত বছর ধরে আলােচনা চলার পর ঘােষিত হতে চলেছে বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য চুক্তি রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকনােমিক পার্টনারশিপ বা আরসিইপি।

আজ এই চুক্তির সফলতার কথা ঘােষণা করবে আসিয়ান গােষ্ঠীর অন্যতম দেশ থাইল্যান্ড। শেষ মুহূর্তে ভারতের দাবির কারণে অধিক রাতে আলােচনা হল ব্যাঙ্ককে আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে। তারপরই এই কথা জানানাে হয়েছে।

রিজিওনাল কমপ্রিহেনসিভ ইকনােমিক পার্টনারশিপ বা আরসিইপি-এর সদস্য সংখ্যা ১৬। আসিয়ান সদস্যভুক্ত দশটি ও ব্লকের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ছয় সদস্য যথা চিন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। আরসিইপি ব্লকটি বিশ্বব্যাপী মােট দেশজ উৎপাদনের এক তৃতীয়াংশ এবং বিশ্বের প্রায় জনসংখ্যার অর্ধেক অংশ।

২০১২ সালে আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে ও ছয় অংশীদার দেশের আরসিইপি নিয়ে আলােচনা শুরু হয় নম পেনে একংকিশতম আসিয়ান সম্মেলনে। লক্ষ্য ছিল আসিয়ান দেশ ও তাদের অংশীদারদের মধ্যে আধুনিক, উচ্চমানের এবং পারস্পরিক লাভজনক একটি বাণিজ্যচুক্তি তৈরি করা। নতুন করে আরসিইপি চুক্তিকে কার্যকর করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয় চিনে। আমেরিকার সঙ্গে চিনের বাণিজ্য-লড়াইয়ের ফলে গত পাঁচ বছরে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়েছে। চিনা আমদানির সম্ভাব্য বিপুল বন্যার কথা মাথায় রেখে ভারত ঘরােয়া বাজারকে রক্ষা করতে উদ্যোগী হয়ে দাবি জানিয়েছে।

তিনদিনের থাইল্যান্ড সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। শনিবার তিনি জানান, ‘অস্থিতিশীল বাণিজ্য ঘাটতি’র প্রসঙ্গে ভারতের উদ্বেগ গুরুত্বপূর্ণ। ‘ব্যাঙ্কক পােস্ট’ নামের এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এবিষয়ে জানান। বলেন, তাঁরা যুক্তিযুক্ত প্রস্তাব দিয়েছেন এবং এই আলােচনায় আন্তরিকভাবে অংশ নিচ্ছে।