পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলা নিয়ে ফের সরব হলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পহেলগামে পর্যটকদের তাঁদের ধর্মের জন্য আক্রমণ ও হত্যা করা হয়েছিল। একে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান অসীম মুনিরের ‘চরম ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। তাঁর মতে, ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় বিভেদ তৈরি করতে এবং কাশ্মীরের অর্থনাীাতির ভিত্তি পর্যটনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এই হামলা চালানো হয়েছিল। নেদারল্যান্ডসের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে একথা বলেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, পাকিস্তানের শহরে দিনের আলোয় সন্ত্রাসবাদীরা ঘুরে বেড়ায়। পাকিস্তান সরকারের অজান্তে এমন ঘটা সম্ভব কী, প্রশ্ন তুলেছেন জয়শঙ্কর। জয়শঙ্কর বলেন, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের গল্পগুলি বিচ্ছিন্ন নয়, বরং পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বের দ্বারা প্রভাবিত।
জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘পর্যটকদের তাদের ধর্ম নির্ধারণের পরে তাঁদের পরিবারের সামনে হত্যা করা হয়েছিল, এবং তারা এমনভাবে করেছিল যার উদ্দেশ্য ছিল ইচ্ছাকৃতভাবে পর্যটনকে ক্ষতিগ্রস্ত করা, যা কাশ্মীরের অর্থনীতির ভিত্তি এবং একটি ধর্মীয় বিভেদ তৈরি করা।’
জয়শঙ্কর আরও বলেছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীরা সকলেই পাকিস্তানে রয়েছে। দিনের আলোতেও তারা সক্রিয়। তাদের ঠিকানাও সবার জানা। তাদের কাজকর্ম সম্পর্কেও সবাই অবহিত। ওদের সঙ্গে কাদের যোগাযোগ রয়েছে, তাও কারও অজানা নয়। তাই পাকিস্তান জড়িত এমন মনে করার কোনও কারণ নেই। এই রাষ্ট্র ও সেনা উভয়েই জড়িত। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, পাকিস্তান এই হামলা বন্ধ না করলে তার ফল ভুগতে হবে।
অপারেশন সিঁদুর এর প্রশংসা করে জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র, এই নিয়ে আমি পরামর্শ দিচ্ছি না। বিবৃতি দিচ্ছি।’
দিল্লি ধারাবাহিকভাবে বলে আসছে যে সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে উদ্ভূত সন্ত্রাসবাদ এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা। জয়শঙ্কর আরও স্পষ্ট করেছেন যে ১০ মে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনার ফলাফল ছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ তৃতীয় পক্ষের কোনও মধ্যস্থতার ফলাফল নয়।
তিনি বলেন, ‘যখন দুটি দেশ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে, তখন এটা স্বাভাবিক যে বিশ্বের দেশগুলি ফোন করে তাদের উদ্বেগের ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু যুদ্ধবিরতি এবং সামরিক পদক্ষেপের ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হয়েছিল।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘সকলের কাছেই আমরা খুব স্পষ্টভাবে চাই যে, পাকিস্তানিরা যদি যুদ্ধ বন্ধ করতে চায়, তাহলে তাদের আমাদের বলতে হবে। তাদের কথা আমাদের শুনতে হবে। আপনার জেনারেলকে আমাদের জেনারেলকে ডেকে এই কথা বলতে হবে। আর সেটাই হয়েছে। ‘