তেলেঙ্গানার পশু চিকিৎসককে মদ মেশানাে ঠান্ডা পানীয় খাওয়ানাে হয় : পুলিশ

হায়দ্রাবাদ-বেঙ্গালুরু জাতীয় সড়কের ছাতানপল্লীতে কালভার্টের নিচ থেকে পশু চিকিৎসকের জ্বলে যাওয়া দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।

Written by SNS Hyderabad | December 1, 2019 1:37 pm

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

হায়দ্রাবাদ গণধর্ষণের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে তেলেঙ্গানার যুবতী পশু চিকিৎসককে ধর্ষকরা জোর করে মদ মেশানাে ঠান্ডা পানীয় খাইয়েছিল। পুলিশের তরফে জানানাে হয়েছে, টোন্ডুপল্লী গ্রাম থেকে ধর্ষকরা এক বােতল হুইস্কি, স্ন্যাক্স ও ঠান্ডা পানীয় কিনেছিল। সামশাবাদে পশু চিকিৎসক গণধর্ষণ মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনাস্থলটি পরীক্ষা করে দেখে।

হায়দ্রাবাদ-বেঙ্গালুরু জাতীয় সড়কের ছাতানপল্লীতে কালভার্টের নিচ থেকে পশু চিকিৎসকের জ্বলে যাওয়া দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সাইবারাবাদ পুলিশ ধর্ষকদেরকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানাে হয়েছে। সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ধর্ষকরা মেয়েটিকে গণধর্ষণ করার সময় হাত দিয়ে নাক ও মুখ চেপে ধরায় শ্বাসরােধ হয়ে মৃত্যু হয়। ধর্ষকরা পেট্রল কিনে দেহটি জ্বালিয়ে দিয়েছিল। প্রধান অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ সহ ধর্ষকদের আরামগর এক্স রােডে নামিয়ে দিয়ে নিজের বাড়ি চলে যায়। ঘটনার সময়ে তারা প্রত্যেকে মদ্যপ ছিল’।

পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, আরিফ ও জোল্লু সকালবেলা ইট ভর্তি লরি নিয়ে টোল প্লাজায় আসে। তারপর ওখানে আর দু’জন পরিচিত ট্রাক চালক তাদের সঙ্গে দেখা করে। লরি ফাঁকা হতে দেরি হওয়ায় চারজন মিলে টোল প্লাজায় অপেক্ষা করতে থাকে। দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যে হতেই মদের নেশায় বুঁদ চারজন দেখে একজন যুবতী টোল প্লাজায় বাইক পার্ক করছে।

তখনই ফন্দি করে লালসা মেটানাের। ঘন্টা খানেক পর মেয়েটি ফিরে এলে তারা মেয়েটিকে সাহায্য করতে চায়। বাইকের চাকা পাংচার করে রাখায় মেয়েটি বাইক নিয়ে বেরােতে পারছিল না। মেয়েটি তাদেরকে বিশ্বাস করতে শুরু করায় জোল্লু তার বাইকটি নিয়ে কয়েক মিনিট ঘরে এসে জানায় কোনাে দোকান নেই, ফলে বাইক সারানাে যাবে না। ব্যস, তার একঘন্টার মধ্যে যুবকীতে গণধর্ষণ করে ও খুন করে।

হায়দ্রাবাদের ঘটনার বিরােধিতায় এক স্কুল ছাত্রী সংসদ ভবনের সামনে প্রতিবাদ দেখান। তাঁকে যন্তর মন্তরে গিয়ে প্রতিবাদ দেখাতে বলা হয়। কিন্তু তিনি যেতে না চাইলে তাঁকে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অনু দুবে নামে ওই স্কুলছাত্রী সংসদের সামনের রাস্তায় প্লেকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ দেখাতে বসেন, যাতে লেখা ‘আমি নিজের দেশে কেন নিরাপদ নই’। তিনি বলেন, ‘সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে চাই’।

দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল বলেন, ‘দুবেকে পুলিশ মারধর করেছে। হায়দ্রাবাদের ঘটনায় বিচলিত হয়ে একজন ছাত্রী প্রতিবাদ করছে, পুলিশ তাঁকে বেধরক মারধর করেছে। আমি থানায় মেয়েটির সঙ্গে দেখা করেছি। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছে। যারা প্রতিবাদ করবে তাদের কি এমন পরিস্থিতি হবে’।