• facebook
  • twitter
Monday, 15 December, 2025

ভোটের আগে ‘জীবিকা দিদি’দের নিয়ে বড় ঘোষণা তেজস্বীর

রাজ্যের মহিলা ভোটারদের জন্য বহু নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল

বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নীতীশের মহিলা ভোটারে ফাটল ধরাতে বড় ঘোষণা তেজস্বী যাদবের। ৬ নভেম্বর বিহারে প্রথম দফার ভোট। তার আগে নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ মহিলা ভোটারদের জন্য একগুচ্ছে প্রকল্প ঘোষণা করছে। তার মধ্যেই এবার মহিলাদের জন্য নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করল আরজেডির তেজস্বী যাদব। ‘মাই-বহেন মান যোজনা’-র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে  আরজেডি। এই যোজনায় মহিলারা পাঁচ বছর ধরে প্রতি মাসে ২ হাজার ৫০০ টাকা অথবা বার্ষিক ৩০ হাজার টাকা সাহায্য পাবেন। সেই সঙ্গে ‘বেটি আয় যোজনা’-র কথাও ঘোষণা করেন তেজস্বী।

রাজ্যের মহিলা ভোটারদের জন্য বহু নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল। জীবিকা দিদিদের চুক্তিভিত্তিক চাকরি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে মাইনে ৩০ হাজার টাকা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ২০২৭ সাল পর্যন্ত তাঁদের ঋণে সুদ মকুব করা হবে। ‘দিদি’দের অতিরিক্ত ২০০০ টাকা ভাতা সকল ক্যাডারের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বীমা কভারেজ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

জীবিকা দিদিদের প্রতি নীতীশ সরকারের করা অবিচার নিয়ে এদিন তোপ দেগেছেন তেজস্বী যাদব। দিদিদের প্রতি করা অন্যায়ের সমালোচনা করে তেজস্বী বলেছেন, ‘জীবিকা দিদি ছাড়া গ্রামে বা শহরে কাজ করা সম্ভব নয়। তারা কিছুই পায় না। এটা আমাদের দায়িত্ব, এই সরকার তাঁদের সেবা করে না।‘

Advertisement

‘মাই-বহেন মান যোজনা’ ছাড়াও ‘বেটি আয় যোজনা’ নামে একটি নতুন প্রকল্প চালু করার কথা বলা হয়েছে। এই প্রকল্পে সরকার একজন কন্যা সন্তানের জন্ম থেকে উপার্জন করার বয়স পর্যন্ত টাকার ব্যবস্থা করবে। তেজস্বী আরও বলেন, ‘একজন কন্যা সন্তানের জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই সরকার তার শিক্ষা এবং ভবিষ্যতের দায়িত্ব নেবে। যাতে দারিদ্র্যের কারণে কোনও কন্যাকে নিজের স্বপ্নের সঙ্গে আপস করতে না হয়।‘

তেজস্বীর তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হল ‘মা প্রকল্প’ এবং গৃহ-অন্ন সুরক্ষা। মা যোজনার আওতায় দরিদ্র মহিলাদের স্থায়ী বাসস্থান, খাদ্য নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীল আয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক মা একটি বাড়ি পাবে, প্রতিটি মেয়ে শিক্ষা পাবে এবং প্রতিটি বোন সম্মান পাবে, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।‘

তেজস্বীর এই ঘোষণার পালটা কোনও ঘোষণা জেডিইউ না করলেও তাঁদের প্রতিশ্রুতিতে মাই বহেন যোজনায় মহিলাদের ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিধবা ভাতা ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪০০ টাকা করা হবে জানানো হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনে মহিলাদের ৫০ শতাংশ কোটা থাকবে বলে খবর।

বর্তমান সরকার ৯৫ হাজার আশা কর্মী এবং ৪ হাজার ৬০০ মমতা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করেছে। বিহারে মহিলা ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩.৫ কোটি। বিহারের মহিলা ভোটাররা নীতীশ কুমারের ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবেই পরিচিত। ২০২০ সালের মতোই এই নির্বাচনেও মহিলা ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত নির্বাচনে, বিজেপি-জেডিইউ জোট ৬০.৫ শতাংশ আসন জিতেছিল। যেখানে মহিলা ভোটারদের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় বেশি ছিল। এই ভোটব্যাঙ্ককেই টার্গেট করেছে তেজস্বী যাদবের দল।

 

Advertisement