উপাচার্য নিয়োগ: ফের সুপ্রিম কোর্টে অস্বস্তির মুখে রাজ্যপাল বোস, ২ সপ্তাহের জন্য স্থগিত মামলা

Written by SNS March 13, 2024 5:44 pm

দিল্লি, ১৩ মার্চ– ফের সুপ্রিম কোর্টে অস্বস্তির মুখে বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস৷ উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সদুত্তর দিতে না পারায় শীর্ষ আদালতে বিরক্তির মুখে রাজ্যপাল৷ এদিন রাজ্যপালের আইনিজীবীকে বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, রাজ্য ও রাজ্যপালের সহমতের ভিত্তিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপালের অবস্থান কী? রাজ্যপালের আইনিজীবী এর কোনও সদুত্তর আদালতের দিতে পারেননি৷ উত্তরের বদলে রাজ্যপালের আইনজীবী এদিন ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, বুধবারই তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে দ্রুত আদালতকে তা জানাবেন৷ আইনজীবীর এই কথা শোনার পর দু’সপ্তাহের জন্য মামলা স্থগিত করে দেয় আদালত৷
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত চরমে৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে সম্মান জানিয়ে রাজভবনে গিয়ে এই বিষয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যদিও সেই বৈঠকে রাজ্যপাল যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার কিছুই পূরণ করা হয়নি৷
ততে এই প্রথম নয় যখন আদালতে রাজ্যের কোনও মামলা নিয়ে ভৎর্‌সিত হতে হয়েছে রাজ্যপালের আইনজীবীকে৷ এর আগে একাধিক বার আদালত কখনও রাজ্যপালকে মুখ্যমন্ত্রীর সময়মতো তাঁকে কফি পানের আমন্ত্রণ জানানোর নির্দেশ দিয়েছে৷ কখনও বলা হয়েছে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে নিতে৷ কখনও আবার আদালতের মৌখিক নির্দেশ পালন না করায় কড়া সমালোচনায় পডে়ছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস৷
এদিন স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ মামলাতেও এর অন্যথা হয়নি৷ রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়, নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যপালের দ্বারা নিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যরা ৬ মাস মেয়াদের বেশি কাজ করতে পারেন না৷ এই সময় আদালত পর্যবেক্ষণ জানায়, তারাও চায় না অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যরা দীর্ঘদিন থাকুন৷ যত দিন না স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হচ্ছে ততদিন এই অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা চলতে পারে৷
মঙ্গলবারের শুনানিতেও সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে তারা চায় দুই পক্ষের আলোচনা এবং সহমতের ভিত্তিতেই উপাচার্য নিয়োগ হোক৷ এদিকে, রাজভবনের তরফে এক বিবৃতিতে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলিতে একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষীরা হিংসা, হুমকি ও দৌরাত্মের পরিবেশ গড়ে তুলেছে৷ এই পরিস্থিতির অবসান ঘটানোই আচার্য তথা রাজ্যপালের লক্ষ্য৷ এই লক্ষ্যেই কাজ শুরু হয়েছে৷