• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ওয়াকফ আইনে স্থগিতাদেশ নয়, জেলাশাসকদের ক্ষমতায় রাশ

ওয়াকফ মামলায় স্বস্তি পেল কেন্দ্র। সোমবার এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, গোটা ওয়াকফ আইন স্থগিত রাখার কোনও যুক্তি নেই।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ওয়াকফ মামলায় স্বস্তি পেল কেন্দ্র। সোমবার এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, গোটা ওয়াকফ আইন স্থগিত রাখার কোনও যুক্তি নেই। সেই সঙ্গে সংশোধনী আইনের দু, একটি ধারা নিয়ে আপত্তি তুলে সুপ্রিম কোর্ট তা আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখ্য, সংশোধিত ওয়াকফ আইনে জেলাশাসকদের ক্ষমতায় সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছে। জেলাশাসকরা এতদিন কোনও জমি বা সম্পত্তি জরিপ করে তা ওয়াকফের কিনা, বলার অধিকারী ছিলেন। তবে শীর্ষ আদালতের নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, এখন জেলাশাসকদের হাতে আপতত এই সংক্রান্ত কোনও অধিকার থাকছে না।

সোমবার ওয়াকফে সম্পত্তি দান করতে হলে পাঁচ বছর ইসলাম ধর্ম পালনের নিয়মে স্থগিতাদেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ। মামলাকারী পক্ষের অন্যতম অভিযোগ ছিল, সংশোধিত আইনের মাধ্যমে অমুসলিমদের ওয়াকফ তৈরির অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্য রাখা যাবে। তবে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ওয়াকফ বোর্ডে সর্বোচ্চ ৪ জন অমুসলিম সদস্য থাকতে পারবেন, রাজ্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ জন। তবে সামগ্রিকভাবে গোটা ওয়াকফ আইনটি স্থগিত রাখার কোনও যুক্তি নেই বলে পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের।

Advertisement

গত ২২ মে এই মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতিতে তৈরি হয় সংশোধিত ওয়াকফ আইন, ২০২৫। সোমবার প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি এজি মাসিহ বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার নিয়ে জেলাশাসক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। কারণ, এর ফলে আইন-আদালত এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা লঙ্ঘিত হবে।’ আসলে ২০২৫ এর সংশোধিত আইনে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ কিনা, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল জেলাশাসক বা ওই মর্যাদার আধিকারিকদের হাতে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট মনে করছে, ওয়াকফ সম্পত্তি বিতর্ক মেটাতে পারবে ট্রাইব্যুনাল।

Advertisement

Advertisement