নির্দিষ্ট সময়ের পরেও দেশের প্রধান বিচারপতির জন্য নির্ধারিত বাংলোতেই থাকছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এই বিষয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে বাড়িটি খালি করার আর্জি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি কেন্দ্রের আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রককে এই চিঠিটি পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত।
২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তারপরে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেন সঞ্জীব খান্না। বর্তমানে বিআর গাবাই এই পদে রয়েছেন। তবে সঞ্জীব খান্না ও বিআর গাবাই কেউই দেশের প্রধান বিচারপতির জন্য নির্ধারিত দিল্লির ৫ নম্বর কৃষ্ণ মেনন মার্গে ‘টাইপ এইট’ বাংলোতে থাকতে চাননি। তাঁরা তাঁদের পুরোনো বাংলোতেই থাকার সিদ্ধান্ত নেন। অন্যদিকে, অবসর গ্রহণের পরও কৃষ্ণ মেনন মার্গের ওই বাংলোতেই থেকে যান চন্দ্রচুড়।
Advertisement
সুপ্রিম কোর্টের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর মাসে দেশের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খান্নাকে চিঠি লিখে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কৃষ্ণ মেনন মার্গের বাসভবনে থেকে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর জন্য সরকারের তরফে তুঘলক রোডের ১৪ নম্বর বাংলোটি (টাইপ ৬) নির্ধারিত করা হয়েছে। কিন্তু সেটিতে মেরামতির কাজ থমকে ছিল। বর্তমানে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। সেই কারণে প্রতি মাসে ৫,৪৩০ টাকা লাইসেন্স ফি দিয়ে কৃষ্ণ মেনন রোডের বাসভবনে চন্দ্রচূড়কে থেকে যাওয়ার অনুমতি দেয় আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। তবে তার পরেও প্রধান বিচারপতি খান্নার কাছে ৩১ মে অবধি ওই বাংলোয় থেকে যাওয়ার মৌখিক আর্জি জানিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। পরে বর্তমান প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের কাছেও ওই বাসভবনে বসবাসের মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে মৌখিক আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময়সীমাও অতিক্রান্ত হয়েছে। তাই অবিলম্বে বাংলোটি খালি করার জন্য কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়ে আর্জি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
Advertisement
প্রাক্তন বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের দাবি, তাঁর দুই কন্যা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় দিল্লি এইমসে তাদের চিকিৎসা চলছে। সেই কারণেই ওই বাংলোতে রয়েছেন তিনি। সরকারের তরফে তাঁর থাকার জন্য যে বাড়িটির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে তা বসবাসযোগ্য নয়। সেখানে মেরামতির কাজ চলছে। বাড়িটি বসবাসযোগ্য হলে পরের দিনই তিনি সেখানে চলে যাবেন বলে জানান।
Advertisement



