• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 July, 2025

স্টাফ সিলেকশন কমিশনের পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক আধার

মে মাস থেকে শুরু হবে স্টাফ সিলেকশন কমিশনের পরীক্ষা। তার আগেই পরীক্ষার্থীদের পরিচয় যাচাই করতে করতে নয়া নিয়ম আনল স্টাফ সিলেকশন কমিশন।

ফাইল ছবি

আগামী মে মাস থেকে শুরু হবে স্টাফ সিলেকশন কমিশনের পরীক্ষা। তার আগেই পরীক্ষার্থীদের পরিচয় যাচাই করতে করতে নয়া নিয়ম আনল স্টাফ সিলেকশন কমিশন। নিয়োগ পরীক্ষায় যে কোনওরকম জালিয়াতি রুখতে এবং পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়া জোরদার করতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এবার থেকে আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক যাচাই করে তবেই পরীক্ষার হলে ঢুকতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। রবিবার এই মর্মে কমিশনের তরফে একটি  বিজ্ঞপ্তি  জারি করা হয়েছে। আগামী মে মাস থেকেই এই নয়া নিয়ম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্টাফ সিলেকশন কমিশন-এর নিয়োগ পরীক্ষায় যাঁরা যোগ দিতে চান, তাঁদের অবশ্যই আধার কার্ড ব্যবহার করে তাঁদের পরিচয়ের প্রমাণ নিশ্চিত করতে হবে। তার জন্য পরীক্ষার্থীরা তিনটি বিকল্প পাবেন। এক: অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের সময়, দুই: পরীক্ষার জন্য অনলাইন আবেদনপত্র পূরণ করার সময় এবং তিন: পরীক্ষাকেন্দ্রে বায়োমেট্রিক যাচাই করা হবে পরীক্ষার্থীদের। পরীক্ষা পদ্ধতি সহজতর করতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে এসএসসি।

বিজ্ঞপ্তিতে কী উদ্দেশ্যে এসএসসি এই প্রক্রিয়া চালু করতে চাইছে, তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। সরকারি চাকরির পরীক্ষায় দুর্নীতি রুখতে এবং ভুয়ো পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতেই এই পদক্ষেপ।  স্টাফ সিলেকশন কমিশন-এর এক আধিকারিকের কথায়, ‘ভুয়ো পরীক্ষার্থীদের ধরতেই আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।’  কমিশন মনে করছে,  এতে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনা অনেকটাই কমবে।

উল্লেখ্য, এর আগে নিয়োগ পরীক্ষায় স্বেচ্ছায় আধার কার্ডের ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছিল স্টাফ সিলেকশন কমিশন। ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আধার আইন, ২০১৬ এবং আধার কর্তৃপক্ষের জারি করা সকল নিয়ম মেনেই কাজ করতে হবে কমিশনকে। এ বার তারা সমস্ত পরীক্ষার্থীর জন্য আধার কার্ডের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করল।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম বড়মাপের নিয়োগ সংস্থা হল স্টাফ সিলেকশন কমিশন। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও সরকারি দপ্তরে আধিকারিক পদ ছাড়া বাকি পদগুলিতে এই পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়। কমিশনের দাবি, নতুন এই নিয়মে পরীক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আসবে এবং পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করাও সহজ হবে। প্রসঙ্গত, সর্বভারতীয় স্তরে মোট ৭টি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পরিচালনা করে স্টাফ সিলেকশন কমিশন।