বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। শুরু হয়ে গিয়েছে জোরাল প্রস্তুতি। দলটির এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে নির্বাচিত ৪৫ জন ‘বিশেষ’ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে নির্বাচনের তদারকি করার জন্য। এই কৌশলের মূল লক্ষ্য, স্থানীয় স্তরের কর্মীদের সক্রিয় করা ও প্রতিটি আসনে এনডিএ-র জয় নিশ্চিত করা।
জানা গিয়েছে, প্রতিটি নেতাকে লোকসভা ভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে বিধানসভা ভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে। প্রতিটি নেতার হাতে প্রায় ছ’টি করে বিধানসভার দায়িত্ব থাকবে। এর মাধ্যমে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি উপরের সারির নেতাদের যোগাযোগ তৈরি হবে।
Advertisement
সম্প্রতি বিজেপির একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল পাটনায়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ধর্মেন্দ্র প্রধান, বিহারের নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত, বিনোদ তাওড়ে, রাজ্যের দায়িত্বে থাকা নেতা ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের বিজেপি নেতারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এই ‘স্পেশাল ৪৫’-কে কেবল প্রচারের দায়িত্ব নয়, স্থানীয় কর্মীদের উৎসাহিত করা, বুথ-স্তরে সংগঠনের কাঠামো শক্ত করা এবং নির্বাচনী প্রচার চালানোর দায়িত্বও দেওয়া হবে।
Advertisement
এই ৪৫জন নেতৃবৃন্দের তালিকায় রয়েছেন প্রহ্লাদ প্যাটেল, রাজকুমার চাহার, বিজয় বাঘেলসহ প্রাক্তন সাংসদ, বিধায়ক ও যুবনেতারা। এই নেতাদের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা ও নির্বাচনী তৎপরতা বিহারের নির্বাচনে বিজেপি-র জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে দলের ধারণা। এই তথ্য বিজেপির অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গিয়েছে।
খবর অনুযায়ী, বিহারে এবারের প্রার্থী তালিকা থেকে প্রায় ১৫ জন বিধায়ক বাদ পড়তে চলেছেন। বিশেষ করে ২০২৪ সালের অনাস্থা ভোটে আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠা বিধায়কদের নাম তালিকায় রয়েছে। এছাড়া বয়স ৭০ বছরের বেশি এবং দলের অন্দরে নিষ্ক্রিয় নেতাদেরও প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপি মনে করছে, নতুন নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক কৌশল তাঁদের বিধানসভা জয়ের পথে শক্তিশালী করে তুলবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘স্পেশাল ৪৫’-এর মাধ্যমে বিজেপি শুধুমাত্র প্রচার নয়, রাজনীতির ময়দানে একটি নতুন শক্তি ও সংগঠন তৈরি করতে চাইছে। এর ফলে বিহারে ক্ষমতার লড়াইয়ে গেরুয়া শিবিরের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।
Advertisement



