নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে হামলার প্রতিবাদে পাক হাই কমিশনের বাইরে শিখদের বিক্ষোভ

নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে শিরােমণি অকালি দলের নেতাকর্মীরা সেন্ট্রাল দিল্লির পাক হাইকমিশনের সামনে জমায়েত করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

Written by SNS New Delhi | January 5, 2020 5:19 pm

নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে হামলার প্রতিবাদে পাক হাই কমিশনের বাইরে বিক্ষোভ। (Photo: IANS)

নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে শিরােমণি অকালি দলের নেতাকর্মীরা সেন্ট্রাল দিল্লির পাক হাইকমিশনের সামনে জমায়েত করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পাশাপাশি দিল্লি শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যরাও প্রতিবাদে সামিল হন। নানকানা সাহিবে হামলার ঘটনাকে নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের তরফে পাকিস্তানে বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়।

দিল্লি শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যরাও প্রতিবাদে সামিল হয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তারা বলেন, কেন পাক প্রশাসন গুরদ্বার নানকানা সাহিবকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে তার ব্যাখ্যা চেয়ে পাক কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হবে। কংগ্রেস ও ভারতীয় জনতা পার্টি কর্মীরা পাক হাই কমিশনের সামনে পৌঁছনাের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

পাক কর্তৃপক্ষের তরফে ভারতীয়দের দাবি নাকচ করে দিয়ে বলা হয়, লাহােরের ঐতিহাসিক নানকানা সাহিবে হামলা চালানাে হয়নি। শিখদের ধর্মীয় প্রতিষ্টানে কোনও ভাঙচুর করা হয়নি, কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। নানকানা সাহিবে ভাঙচুরের খবর মিথ্যে। পাক বিদেশ দফতরের তরফে মধ্যরাতে বিবৃতি দিয়ে জানানাে হয়, নানকানা সাহিবে দুটো মুসলিম দলের মধ্যে বিবাদ হয়। চায়ের দোকানের তর্ক একটা সময়ে বিবাদে পৌছয়। ঘটনার পর অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি টুইট করে লেখেন, ‘নানকানা সাহিবে হামলার ঘটনা নিন্দনীয়। সকলের নিন্দায় মুখর হওয়া উচিত। ধর্মান্ধতা সাংঘাতিক প্রবণতা, যার কোনও সীমা নেই। ভালােবাসা, পারস্পরিক সম্মান ও বােঝাবুঝি একমাত্র প্রতিষেধক’। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, ‘পাকিস্তানে গুরুদ্বারে হামলার ঘটনার নির্মমতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ দেশের সংখ্যালঘুদের নিশানা করা হয়েছে’।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমকর কাউর বাদল বলেন, ‘নিন্দনীয় ঘটনা। পাকিস্তানের আসল মুখ প্রকাশ হয়ে গেছে। শিখ সম্প্রদায়ের মেয়েকে প্রথমে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তকরুণ করে জোর করে বিয়ে করা হয়। এখন অপহরণকারীরা শিখ মেয়েটির পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নানকানা সাহিবে হামলা করা হয়। আমি প্রধানমন্ত্রী মােদি ও বিদেশমন্ত্রীকে আর্জি করছি, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরতা বন্ধ করা নিশ্চিত করতে চাপ দেওয়ার জন্য’। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং ঘটনায় গুরুদ্বারে আটকদের সাহায্য করার ব্যাপারে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

পাকিস্তানে গুরুদ্বারে হামলার ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক ও কাপুরুষােচিত’ বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ‘নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে হামলার ঘটনা ও শিখ নিগ্রহের ঘটনা মেনে নেওয়া যায়না। তিনি বলেন, ‘নানকানা সাহিব কয়েক কোটি শিখ ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাসের কেন্দ্র। পাকিস্তানে বসবাসকারী শিখদের ওপর নিগ্রহের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না’।

গুরুদ্বারে হামলার ঘটনাকে নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তার জন্য কেন্দ্রকে হস্তক্ষেপ করার জন্য আর্জি করা হয়েছে।