রাহুলের পদত্যাগ রুখতে ধরনায় বসছেন শীলা দীক্ষিত, আর্জি কুমারস্বামীরও

রাহুল গান্ধি দল ছেড়ে চলে গেলে এখন অকুল পাথারে গিয়ে পড়বে জাতীয় কংগ্রেস। তাই আপাতত চলছে অনুনয় বিনয় পর্ব।

Written by SNS New Delhi | May 31, 2019 9:24 pm

রাহুল গান্ধি (Photo: IANS)

গোঁ ধরে বসে রয়েছেন রাহুল গান্ধি। কংগ্রেস সভাপতির পদ তিনি ছাড়বেনই। অন্যদিকে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও নাছােড়বান্দা। রাহুল গান্ধি দল ছেড়ে চলে গেলে এখন অকুল পাথারে গিয়ে পড়বে জাতীয় কংগ্রেস। তাই আপাতত চলছে অনুনয় বিনয় পর্ব। যদি কোনওভাবে আটকে দেওয়া যায় রাহুলকে। যদি কোনওভাবে ঢলিয়ে দেওয়া যায় তাঁর এই সিদ্ধান্ত। যারপরনাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতারা। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত আবার এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছেন যে রাহুলের বাস ভবনের সামনে তিনি ধরনায় বসতে পারেন বলেও খবর।

এই বিষয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শীলা বলেন, ‘আমি সরাসরি রাহুলকে জানিয়েছি যে ওনার পদত্যাগ করা উচিত নয়। আমরা চাই উনি সভাপতির কাজ চালিয়ে যান। না হলে দলীয় কর্মীরা আরও কষ্ট পাবে।’ ধরনার দেওয়ার পরিকল্পনা সাফ করে তিনি আরও জানান, ‘রাহুল গান্ধির বাসভবনের কাছে গিয়ে আমরা নিজেদের অনুভূতির কথা জানাব এবং ওনাকে পদত্যাগ না করার জন্য অনুরােধ করব। এটা হলে দলের এমন ক্ষতি হয়ে যাবে, যা কল্পনাতীত। সেই জন্য আমরা চাই না এমন কিছু ঘটাক।’ দিল্লির কংগ্রেস নেতা বিজয় জতন ও কিছু দলীয় কর্মী ইতিমধ্যেই রাহুলের বাড়ির বাইরে জড়াে হয়ে এই ক সিদ্ধান্তের বিরােধিতা করছেন। তাদের বক্তব্য, রাহুলের নেতৃত্ব দলের প্রয়ােজন। তাঁকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।

প্রসঙ্গত, সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই কম চেষ্টা করেননি কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতারা। দলের শীর্ষনেতা কে সি বেনুগােপাল ও কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা রাহুলের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকে বােঝানােরও চেষ্টা করেন। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশােক গেহলট, উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট তুঘলক লেনের বাসভবনে রাহুলের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু লােকসভা ভােটে হারের পর রাহুল নিজেকে এতটাই গুটিয়ে নিয়েছেন যে ইস্তফা ছাড়া আরও কোনও বিকল্পের কথা ভাবছেন না তিনি। পরিবারতন্ত্রের অভিযােগ ঘােচাতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধির নামও যেন বিকল্প হিসেবে না ভাবা হয়, স্পষ্ট জানিয়েছেন কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি। ফলে রাহুলকে রুখতে শেষমেশ পথে নামা ছাড়া আর কোনও উপায় দেখছেন না কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতারা।