• facebook
  • twitter
Friday, 22 August, 2025

বৃষ্টি-ধসে বিধ্বস্ত উত্তর-পূর্ব ভারত, দু’দিনে মৃত্যু অন্তত ৩০ জনের

অসম, মেঘালয়, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরামের মতো রাজ্যগুলিতে গত দু’দিনে শুধু বৃষ্টির কারণেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০ জনের।

প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ। অতিবৃষ্টির কারণে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। অসম, মেঘালয়, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরামের মতো রাজ্যগুলিতে গত দু’দিনে শুধু বৃষ্টির কারণেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারী বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যেই ভেসে গিয়েছে অসমের ৬টি জেলা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারের কাজে নেমেছে জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। জোরকদমে চলছে ত্রাণকাজও। এখনও পর্যন্ত সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। আরও কয়েকদিন দুর্যোগ চলবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তাছাড়া অসমের ১২টি জেলায় ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। আটকে পড়েছেন পর্যটকরাও।

শনিবারই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করে তিস্তা। রবিবার জলস্তর আরও বেড়েছে। এদিন সকালে চুংথাং বাঁধ প্রকল্পের মান নিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরি ভেসে গিয়েছে। তিস্তার জলোচ্ছ্বাসে পাথর ও কংক্রিট ধসে ফিডাং বেইলি ব্রিজ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নেই বিদ্যুৎ, পানীয় জল। বিভিন্ন সড়ক অবরুদ্ধ হওয়ায় খাবারের সমস্যাও বাড়ছে। উত্তর সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত দেড় হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন। আপাতত তাঁদের হোটেলে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সিকিমের পুলিশ আধিকারিক সোনম দেচচু ভুটিয়া বলেন, ‘অবিরাম বৃষ্টিপাতের জেরে ভূমিধসে প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ হয়েছে। লাচেনে ১১৫ জন এবং লাচুংয়ে ১,৩৫০ জন পর্যটক আটকে পড়েছেন।’ শনিবার সন্ধ্যায় ধস সরিয়ে লাচুং রাস্তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে চুংথাং থেকে শিপগিয়ার এবং সাঙ্কলং হয়ে ফিদাং যাতায়াতের রাস্তাটি একাধিক ভূমিধসে অবরুদ্ধ। আগামী কয়েক দিনের জন্য অসমের বিস্তীর্ণ অংশে কমলা সতর্কতা এবং উত্তর-পূর্বের বাকি অংশে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।

টানা বৃষ্টির কারণে উত্তর-পূর্বের নদীগুলির জলস্তর বাড়ছে। ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর অনেকটা বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় প্রশাসনের। অনেকে বলছেন, বৃষ্টি চলতে থাকলে শীঘ্রই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করবে ব্রহ্মপুত্র। শনিবার গুয়াহাটিতে ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত ৬৭ বছরের নজির ভেঙে দিয়েছে এক দিনের বৃষ্টি।