হংকং’র চলতি গণআন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়ে নাগরিকত্ব সংশােধনী আইনের প্রতিবাদীদের অস্ত্র এখন অফলাইন মেসেজিং অ্যাপ। নাগরিকত্ব সংবােশনী আইন এবং দেশজুড়ে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বলবৎ করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর ও দক্ষিণ ভারত। তাতে প্রাণ গিয়েছে একাধিক মানুষের।
এই পরিস্থিতিতে অশান্তির আগুন এবং বিভ্রান্তিকর খবর যাতে না ছড়ায় সে জন্য দেশের রাজ্যে রাজ্যে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু তাতে কি? শাসকের চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই প্রতিবাদকে আগামী দিনে আরও জোরালাে করে তুলতে হংকং’র থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে হাতিয়ার করে নিয়েছে অফলাইন মেসেজিং পরিষেবা।
Advertisement
প্রথমত ব্রিজফাই ও ফায়ারচ্যাট এই দুটি অফলাইন মেসেজিং অ্যাপ সহ আরও এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশন গত ১৪ দিন দেশজুড়ে জনপ্রিয় হয়েছে। এই অ্যাপ্লিকেশনগুলির দ্বারা দুই বা একাধিক ব্যক্তি নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে ব্লুটুথ প্রযুক্তির সাহায্যে আদানপ্রদান থেকে সুরু করে কল পর্যন্ত করতে পারেন। আর এজন্য কোনও ইন্টারনেট বা মােবাইল ফোনের সংযােগের কোনাে প্রয়ােজন পড়ে না।
Advertisement
আমেরিকার অ্যাপ ইন্টেলিজেন্স সংস্থার তরফে জানানাে হয়েছে, গত ২২ ডিসেম্বর থেকে যখন অসম এবং মেঘালয়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়, সেই দিন থেকে এই ধরনের অফলাইন মেসেজিং অ্যাপ ডাউনলােড করার হার ৮০ শতাংশ বেড়েছে ভারতে। ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার আগে ব্রিজফাই প্রতিদিন যেখানে ২৫ জন ডাউনলােড করতেন ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার পর সেটা একলাফে বেড়ে হয় ৬০৯ জন। শুধু অসম বা মেঘালয়েই নয়, দিল্লিতেও এ ধরনের অ্যাপ ডাউনলােডের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।
Advertisement



