ভারত হােটেলস গােষ্ঠীর বিভিন্ন সম্পত্তিতে হানা দিয়ে আয়কর দফতর বিদেশে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের গােপন সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে। পাশাপাশি ওই ব্যবসায়ী গােষ্ঠী বিপুল পরিমাণ কালাে টাকা বিদেশে লুকিয়ে রেখেছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ বা সিবিডিটি।
বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযানের পরে সিবিডিটি যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে কোনও নামের উল্লেখ না থাকলেও সরকারি সূত্রের খবর, এর পুরােটাই ভারত হােটেলস গােষ্ঠীর। এই গােষ্ঠীর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জ্যোৎস্না সুরি ।
সিবিডিটি জানিয়ছে, তদন্তে সাফল্যের সঙ্গে পর্দা উন্মােচিত হয়েছে। যার ফলে বিদেশে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের গােপন সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে। পাশাপাশি দেশের মধ্যে ৩৫ কোটি টাকারও বেশি আয়কর ফাঁকিরও খোঁজ মিলেছে, যার জেরে কালাে টাকা আইন, ২০১৫ ও আয়কর আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
সিবিডিটি-র তরফে জানানাে হয়েছে, বিদেশেও সম্পত্তির মধ্যে ব্রিটেনে একটি হােটেলে লগ্নি রয়েছে এবং ব্রিটেন ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে স্থাবর সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। বিদেশী ব্যাঙ্কেও বিপুল পরিমাণ টাকা গচ্ছিত রাখার তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। সিবিডিটি-র বক্তব্য, এই গােষ্ঠীটি হসপিটালিটি শিল্পে প্রথম সারির সংস্থা যারা ভারতের বিভিন্ন স্থানে একটি নামী ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল হােটেলের চেইন চালায়। বিদেশেও তারা একটি হােটেল পরিচালনা করে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই তল্লাশিতে এখনও পর্যন্ত হিসাব বহির্ভূত ২৪ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে নগদ রয়েছে ৭১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ২৩ কোটি টাকার গহনা এবং ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দামের ঘড়ি রয়েছে।
দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকায় ভারত হােটেলসের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জ্যোৎস্না সুরি ও তার কিছু সহযােগীর একটি বাড়িতে আয়কর আধিকারিকরা রবিবার থেকে তল্লাশি চালিয়েছেন। বর্তমানে কলকাতার দ্য ললিত সহ সারা দেশে গােষ্ঠীর ১২টি হােটেল রয়েছে। গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই গােষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত আছেন জ্যোৎস্না। তার স্বামী ললিত সুরির মৃত্যুর পর ২০০৬ সালে তিনি চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্বভার হাতে নেন। প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে গ্রেট ইস্টার্ন হােটেলটি কেনার কয়েক মাস পরে ললিত সুরির মৃত্যু হয়।
