‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী’, অমিতের ‘আদিবাসী প্রেমে’র পাল্টা অধীরের সত্যাগ্রহ

অধীর চৌধুরীর নেতৃত্ব এই আন্দোলন-প্রতিবাদ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সত্যাগ্রহ’। কংগ্রেস দাবি করেছে, বিজেপির এই ‘আদিবাসী প্রেম’ সবটাই ভােটের চাল

Written by SNS Kolkata | November 6, 2020 4:00 pm

কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। (Photo: IANS)

বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্ন মেদিনী ‘। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রেক্ষিতে দুর্যোধনের মুখ নিঃসৃত সেই বাক্য কালের প্রবাহে প্রবাদে পরিণত হয়েছে। যে প্রবাদ আজ বর্তমান ‘মহাভারতের কুরুক্ষেত্র’- এও একইরকমভাবে প্রাসঙ্গিক। সময় পাল্টেছে। চরিত্রগুলাে বদলেছে। ঘটনাক্রম পাল্টেছে। সাজপােষাক বদলেছে। যেখানে কেউ কাউকে এক চিলতে জমিও ছাড়ে না ভােট কৌশলে টেক্কা দিতে। অবিরত চলে স্ট্রাটেজি বদল। দলিত-আদিবাসী ইস্যুতে এখন এমনই যুযুধান দু’পক্ষ অমিত-অধীর।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যখন বিজেপিকে ‘আদিবাসীদের অভিভাবক’ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন, ঠিক তখনই দলিত উৎপীড়ন ইস্যুতে গেরুয়া শিবিরকে কাঠগড়ায় তুলে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে পাল্টা আন্দোলনে নামছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলিত উৎপীড়নকে সামনে রেখে আজ বিধানভবনের সামনে দিনভর টানা ধরনা, অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হবেন কংগ্রেস নেতারা।

অধীর চৌধুরীর নেতৃত্ব এই আন্দোলন-প্রতিবাদ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সত্যাগ্রহ’। কংগ্রেস দাবি করেছে, বিজেপির এই ‘আদিবাসী প্রেম’ সবটাই ভােটের চাল। এর আগে অমিত শাহ এসে যেখানে যেখানে খাওয়াদাওয়া করেছিলেন, আদৌ তিনি তাঁদের খবর রাখেন কিনা, প্রশ্ন তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। আদিবাসীদের উন্নয়নে কগ্রেস কী কী করেছে , রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় স্তরে এখন সে তুলে ধরছেন হাত শিবির।

প্রসঙ্গত, গতকাল কংগ্রেসের জোটসঙ্গী সিপিআইএম- এর বর্ষীয়ান সুজন চক্রবর্তীও আদিবাসীর বাড়িতে অমিত শারে মধ্যাহ্নভােজকে ‘রাজনৈতিক স্টান্ট’ বলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, দলিত-আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য স্টান্টবাজি করলে চলে না। নাটকের স্ক্রিপ্ট লেখা হয়েছে। তাই দলিতদের বাড়িতে বসে খাওয়াদাওয়া করছেন। কিন্তু এভাবে কী পাশে থাকা হয়? মানুষের কণ্ঠ, মানুষের কথা ওরা বােঝে না। মানুষের কথা বলে শুধু বাম, কংগ্রেস- ই। আজ ‘কংগ্রেসের ‘সত্যাগ্রহে’ বাম নেতাদেরও দেখা মিলতে পারে। সবমিলিয়ে আদিবাসী ইস্যুতে কেউ কাউকে যে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও নারাজ, তা এককথায় স্পষ্ট।