দূরত্ব যাই হােক না কেন রাজভবন এবং সরকারের মধ্যে সংঘাতের চিত্র কলকাতাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। লেফটেন্যান্ট গভর্নর কিরণ বেদির অপসারণের দাবি তুলে তিনদিন ধর্নারত মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণ স্বামী। সঙ্গে রয়েছেন কংগ্রেস-সহ জোট শরিক দলের নেতা-মন্ত্রীরা।
২০১৬’র মে মাসে লেফটেন্যান্ট পদে কিরণ বেদি আসীন হওয়ার পরই সেকুলার ডেমােক্র্যাটিক ফ্রন্ট সরকারের সঙ্গে তাঁর সঙ্ঘাত শুরু হয়। এরপর থেকে মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ স্বামী একাধিক অভিযােগ কিরণ বেদির বিরুদ্ধে করে আসছেন।
Advertisement
নারায়ণ স্বামীর অভিযােগ, রাজ্যের উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে রাজাপাল। মন্ত্রী সভার সিদ্ধান্ত অমান্য করছেন এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে কাজ করছেন ন। আগামী মে মাসে পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তার আগেই রাজভবন ও স্বামীর সঙ্গে সঙ্ঘাত চরমে।
Advertisement
যার জেরে শুক্রবার থেকে রাজভবন থেকে একটু দূরে আন্না সালাইয়ে অবস্থান ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীসভার সদস্যরা, বেশ কয়েকজন বিধায়ক, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মত নেতা-নেত্রীরাও। তিনদিন ধরে সেখানেই অস্থায়ী আস্তানায় ঘুমােচ্ছেন তারা।
রাজভবনের সামনে নারায়ণ স্বামীর ধর্নায় বসার ইচ্ছে থাকলেও করােনা এবং নিরাপত্তার কারণে সেই অনুমতি মেলেনি। এই অবস্থানের জেরে রাজভবনের নিরাপত্তা বাড়ানাে হয়েছে। মােতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী। এর আগেও দেড় বছর আগে তিনি ধর্নায় বসেছিলেন।
অবস্থানে বসে নারায়ণ স্বামী বলেন, ‘২০১৯ সালেও কিরণ বেদিকে সরানাের দাবিতে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিলাম। কিন্তু এখন সেই সঙ্গাত চুড়ান্ত আকার ধারণ করেছে। মন্ত্রীসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া সব ফাইল ফেরত পাঠাচ্ছেন তিনি এবং সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করছেন। এটা লেফটেন্যান্ট গর্ভনরের কাজ নয়।
সম্প্রতি পােঙ্গলের জন্য পুদুচেরির বাসিন্দাদের জন্য ১০০০ টাকা অনুদানের ঘােষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কিরণ বেদি মাত্র ২০০ টাকা অনুদান মঞ্জুর করেছেন। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, ‘সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা নেই। উনি নিজেই তাে সংবিধান।’
Advertisement



