হাথরাসে মৃত তরুণীর বাড়িতে পৌঁছালেন রাহুল প্রিয়াঙ্কা

হাথরাসে মৃত তরুণীর বাড়িতে শনিবার সন্ধায় পৌছালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি ও উত্তর দেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা।

Written by SNS Hathras | October 4, 2020 4:04 pm

প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ও রাহুল গান্ধি (Photo: Twitter/@INCIndia & IANS)

হাথরাসে মৃত তরুণীর বাড়িতে শনিবার সন্ধায় পৌছালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি ও উত্তর দেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ টোয়েটা গাড়িতে চেপে তারা হাথারাসে যান। গাড়ি চালাচ্ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এদিন রাহুল প্রিয়াঙ্কার কনভয়ে ছিলেন তিরিশ জন কংগ্রেস সাংসদ।

এককথায় বলতে গেলে সংসদে প্রধান বিরােধী দলের সদস্যরা এদিন হাথরাস অভিমুখে যাত্রা করেন। এর মধ্যে ছিলেন সংসদে বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী, সাংসদ কে সি বেনুগোপাল, শশী থারুরের মতাে নেতারা। হাথরাসেল দূরত্ব দুশাে কিমড।

এদিন রওনা হওয়ার আগে কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধি টুইট করে বলেন, পৃথিবীতে কোনও কিছু আমাদের হাথরাসে থামাতে পারবে না। রাহুল একথা বললেও প্রিয়াঙ্কা বলেন এবার যদি না যেতে পারি আবার চেষ্টা করবাে।

এদিন রাহুলের কনভয় যখন দিল্লি, নয়ড়া ডায়রেক্ট ফ্লাইওভারে টোলপ্লাজায় পৌঁছায় তখন দেখা যায় বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী রাস্তার ওপর মােতায়েন করা হয়েছে। প্রশ্ন তোলেন এই তৎপরতা যদি গণধর্ষিতাকে বাঁচানাের জন্য পুলিশ দেখাতাে তাহলে আজ এই ঘটনা ঘটতো না। কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের একদফা মারপিটও হয়। সেই সময় গাড়ি থেকে নেমে নিজে পুলিশের লাঠির ঘা থেকে এক কংগ্রেস কর্মীকে বাঁচান প্রিয়াঙ্কা।

এই ছবি সােশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সাদা কুর্তা পরা এক ব্যক্তিকে পুলিশ লাঠি নিয়ে তেড়ে যাচ্ছে আর তা দেখে গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমে পড়েন প্রিয়াঙ্কা। কংগ্রেস কর্মীটিকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে রাস্তার ধারে বসান যাতে পুলিশ তাকে আর মারতে না পারে। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এদিন বলেন, ‘কংগ্রেসের কৌশল সকলেই জানে। বিজেপির ঐতিহাসিক জয় হয়েছে ২০১৯ এর লােকসভা নির্বাচনে। রাহুল গান্ধি আসলে রাজনীতি করার জন্য হাথরাসে যাচ্ছেন। মৃত তরুণীর পরিবার ন্যায়বিচার পেল কিনা তা নিয়ে রাহুল বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন।’

স্মৃতি ইরানির এই মন্তব্যের প্রতিবাদে বেনারসে তার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। শ্লোগান ছিল, ‘ স্মৃতি ইরানি গাে ব্যাক আমরা ন্যায় বিচার চাই।’

শনিবার ভাই রাহুলকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে গেলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। দুপুর আড়াইটা নাগাদ হাথরাসের দিকে রওনা দেন প্রিয়াঙ্কা। গাড়ির স্টিয়ারিং ছিল প্রিয়াঙ্কার হাতে। পাশে বসেছিলেন রাহুল। পিছনে বাসে ছিলেন কংগ্রেসের তিরিশজন সাংসদ।

কিন্তু দিল্লি – নয়ডা ফ্লাইওভারে ওঠার মুখে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাদের পথ আটকায়। বলা হয় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। কংগ্রেস নেতারা তা লঙ্ঘন করছেন। তাদের ফিরে যেতে হবে । যদিও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় , তারা এক পাও পিছােবে না। ওখানেই বক্তৃতা শুরু করেন রাহুল। এক ঘণ্টা পরে তাদের হাথরাসে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাহুল প্রিয়াঙ্কাকে নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়ার অনেক আগে আটকে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।