• facebook
  • twitter
Wednesday, 24 December, 2025

দীপু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি-কলকাতার বাংলাদেশ হাইকমিশন চত্বর, পুড়ল ইউনুসের কুশপুতুল

মঙ্গলবার দিল্লি তথা পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের নেতা-কর্মীরা

প্রতিবেশী বাংলাদেশে বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়ল ভারতে। দু’দেশের সম্পর্কের তিক্ততা আরও বেড়েছে বাংলাদেশে দীপু দাসকে পিটিয়ে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর। ভারতে তারই প্রতিবাদে দিকে দিকে বিক্ষোভও চলছে। মঙ্গলবার দিল্লি তথা পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের নেতা-কর্মীরা।
এদিন বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন শতাধিক বিক্ষোভকারী। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই বাংলাদেশের হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদার করেছিল দিল্লি পুলিশ। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা হয় হাইকমিশন চত্বর। দিকে দিকে বসানো হয় পুলিশ ব্যারিকেড। মোতায়েন অতিরিক্ত বাহিনীও।
তবে বেলা গড়াতেই উত্তেজনা ছড়ায় হাইকমিশনের বাইরে। বহু লোক জড়ো হন সেখানে। প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে-দিতে তাঁরা এগোতে শুরু করেন কমিশনের দিকে। কমিশন চত্বরের সামনেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুতুলও পোড়ান তাঁরা। এরপরই পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেন তাঁরা। 
বিক্ষোভকারীদের আটকানোর জন্য পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। শুধু দিল্লি নয়, একই ছবি দেখা যায় কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের সামনেও।  কলকাতার বেকবাগান এলাকায় স্থিত বাংলাদেশের হাই কমিশনের সামনে এদিন জড়ো হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের নেতা-কর্মীরা।
এখানেও পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। পুলিশ তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করতেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি।বাংলাদেশের ময়মনসিংহে ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার এবং ধর্মীয়স্থানে ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে সরব হন বিক্ষোভকারীরা। 
২ দিন আগেই দিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে মিথ্যে প্রচার করছে বলেও দাবি করে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, ২০ ডিসেম্বর দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন যুবক জড়ো হয়ে স্লোগান দেন। ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দাবিতেই এই বিক্ষোভ হয় বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

Advertisement