মুজফফরনগর ও মীরাটে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে প্রিয়াঙ্কা

প্রিয়াঙ্কা তার অনির্ধারিত সফরের সময় পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত মৌলানা আসাদ রাজা হুসেইনির সঙ্গেও দেখা করেন।

Written by SNS New Delhi | January 5, 2020 3:10 pm

প্রিয়াঙ্কা গান্ধি (Photo: IANS)

মুজফফরনগর ও মীরাট জেলায় সংশােধিত নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময়ে পুলিশি বাড়াবাড়িতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে শনিবার দেখা করতে যান কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি প্রিয়াঙ্কা বলেন, পুলিশের কাজ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া এবং আইনের বিচার পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ঠিক উল্টো ব্যবহার করল বলে অভিযােগ করেন প্রিয়াঙ্কা।

প্রিয়াঙ্কা তার অনির্ধারিত সফরের সময় পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত মৌলানা আসাদ রাজা হুসেইনির সঙ্গেও দেখা করেন। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ছিলেন সাহারনপুরের কংগ্রেস নেতা ইমরান মাসুদ। প্রিয়াঙ্কা সাংবাদিকদের জানান, হুসেইনিকে মাদ্রাসায় ঢুকে পুলিশ মারধর করেছে বলে অভিযােগ। এমনকী বেশ কয়েকজন কিশাের সহ অনেককেই পুলিশ আটক করেছে।

বিক্ষোভের সময় সংঘর্ষে নিহত নুর মহম্মদের বাড়িতেও যান প্রিয়াঙ্কা। তিনি জানান, নুরের স্ত্রী সাত মাসের অন্তস্বত্তা এবং দেড় বছরের এক কন্যা রয়েছে। রুকাইয়া পারভিনের বাড়িতেও পুলিশ তাণ্ডব চালায় বলে অভিযােগ। সেখানেও যান প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কা জানান, উত্তরপ্রদেশে পুলিশি তাণ্ডব নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেলকে। কীভাবে পুলিশ কোনও কারণ ও প্ররােচনা ছাড়াই সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে তার বিস্তারিত বিবরণ তিনি জানিয়েছেন রাজ্যপালকে। বিক্ষোভ থামানাের নামে পুলিশই প্রথমে অত্যাচার শুরু করে বলে তিনি অভিযােগ করেন। পুলিশ এক যুবতীকে এমন মার মেরেছে যে তার কপালে ষােলােটি সেলাই দিতে হয়েছে।

পুলিশ ২৪ ডিসেম্বর প্রিয়াঙ্কা ও দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধিকে মীরাটে ঢুকতে দেয়নি ১৪৪ জারি থাকার কারণে। ফলে সে যাত্রায় তাদের ফিরে যেতে হয়েছিল। মীরাটে বিক্ষোভের সময় অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে প্রিয়াঙ্কা বিজনাের সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। এছাড়া এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথেও প্রিয়াঙ্কাকে পুলিশ বাধা দেয় ও হেনস্থা করে বলে অভিযােগ।