২০২০ সালে তাঁর কথা হুবহু মিলেছিল। প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন বাংলায় বিজেপি একশো পেরবে না। তবে এখন আর সেভাবে ভবিষ্যদ্বাণী মিলছে না ভোটকুশলীর। বিহার নির্বাচন নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যদ্বাণী একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। ভোটের আগে প্রশান্ত বলেছিলেন, ‘বিহারে পঁচিশের বেশি আসন পাবে না জেডিইউ। নীতীশ কুমার আর মুখ্যমন্ত্রী হবেন না।’ সেই পূর্বাভাস একেবারেই মেলেনি। বিহার নির্বাচনের ফলাফলের পর এ ছবি স্পষ্ট যে, প্রশান্তর দল জন সুরাজ পার্টি কোনও ভাবেই প্রভাবই বিস্তার করতে পারেনি। কাজেই বলা যায়, বিহার ভোটের ময়দানে ব্যর্থ প্রশান্ত।
যদিও ভোটকুশলী হিসাবে প্রায় সব রাজ্যে সাফল্য এসেছে প্রশান্তর। বিহারে তৃণমূল স্তরে নেমে কাজ করার লক্ষ্যে পদযাত্রা। প্রায় ৩ বছর বিহারের গ্রামে গ্রামে ঘুরেছেন। একেবারে কর্পোরেট ধাঁচে ভোটের অঙ্ক কষে নানা দলের হয়ে কাজ করেছেন তিনি। এনডিএ বনাম মহাজোটের গতানুগতিক লড়াইয়ে বিহারের রাজনীতিতে তৃতীয় বিকল্প হিসাবে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করেন পিকে। তাঁর জন সুরাজ পার্টি জাতপাতের রাজনীতিতে ক্লিষ্ট বিহারবাসীকে নতুন ভাবে ভাবাতে চেয়েছিল। কিন্তু ভোটের ময়দানে ডানা ভেঙে পড়ল প্রশান্তর দল।
Advertisement
অভিজ্ঞ মহলের মতে, প্রশান্ত কিশোরের রাজনীতি সমাজমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমের উপর নির্ভরশীল। প্রশান্ত মাঝে মাঝে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন, বড় বড় দাবি করেন, প্রচারে থাকেন। কিন্তু রাজনীতির কঠিন বাস্তবে সঙ্গে প্রশান্তর পরিচয় নেই। আর এইসব কারণেই এবারের বিহারের নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রশান্তর দল। ফলাফলের ছবি বলে দিচ্ছে বিহারের সর্বত্র নীতীশ কুমারের জয়জয়কার। এই হারের পর আগামীদিনে ভোটকুশলী পিকে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কীভাবে ভোটের ময়দানে টিকে থাকেন সেটাই এখন দেখার।
Advertisement
Advertisement



