করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব, ধারাভি বস্তির উদাহরণ টেনে জানালো হু

বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এই ভাইরাসের মোকাবিলা করা কার্যত অসম্ভব বলেই আগে বারবার জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।

Written by SNS New Delhi | July 12, 2020 9:43 pm

প্রতিকি ছবি (Photo by Punit PARANJPE / AFP)

বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এই ভাইরাসের মোকাবিলা করা কার্যত অসম্ভব বলেই আগে বারবার জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। কিন্তু এর মধ্যেই তারা আবারও জানালো করোনা নিয়ন্ত্রণ কার সম্ভব। এই প্রসঙ্গে মুম্বইয়ের ধারাভির উদাহরণ দিয়েছে তারা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ট্রেডস আধানম শুক্রবার বলেছেন, বেশ কিছু জায়গার পরিস্থিতি দেখে বোঝা যাচ্ছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ইতালি, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত তথা এশিয়ার সবচেয়ে বড় বস্তি ধারাভি উদাহরণ টেনেছেন তিনি।

আধানম বলেন, এই জায়গাগুলি দেখিয়ে দিয়েছে, সংক্রমণ যতই বাড়ুক, কড়া পদক্ষেপ নিলে তার মোকাবিলা সম্ভব। জেনেভাতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আধানম বলেন, গত ছ’সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। এই রকম কিছু দেশ হল ইতালি, স্পেন ও দক্ষিণ কোরিয়া।

এছাড়া মুম্বয়ের কাছে ঘনবসতিপূর্ণ ধারাভিতেও তা দেখা গিয়েছে। যেখান থেকে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা করা হয়েছিল সেখানে টেস্টিং অর্থাৎ নমুনা পরীক্ষা, ট্রেসিং অর্থাৎ সংক্রমণের উৎস খোঁজা, আইসোলেটিং অর্থাৎ অন্যদের থেকে আলাদা করা ও ট্রিটিং পদ্ধতিতে সংক্রমণের চেনকে ভাঙা সম্ভব হবে। ফলে ভাইরাসকে রোখা সম্ভব।

এখনও পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২৩ লাখের বেশি। ১৯৬টি দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। সেখানে লকডাউন হাল্কা করা হয়েছিল, সেই সব জায়গায় সংক্রমণ আবার বাড়তে আরম্ভ করেছে। এই সংক্রমণের মোকাবিলা একমাত্র কড়া পদক্ষেপের মাধ্যমেই সম্ভব। সেই সঙ্গে মানুষের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তবেই এই ভাইরাসকে হারানো সম্ভব।

গত মঙ্গলবার মুম্বইয়ের ধারাভিতে শুধুমাত্র একজন নতুন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়। প্রশাসনের তরফে বলা হয় অন্তত সাড়ে ৬ লক্ষ মানুষ বাস করেন ধারাভিতে। এখনও পর্যন্ত এই বস্তিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩৩৫।

তিন মাস আগে ৫ এপ্রিল প্রথম আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছিল ধারাভিতে। শুধুমাত্র আক্রান্তের সংখ্যা কমই নয়, সুস্থতার হারও ক্রমেই বাড়ছে ধারাভিতে। মঙ্গলবার পর্যন্ত মাত্র ৩৫২ জন অ্যাকটিভ রোগী রয়েছেন সেখানে। অর্থাৎ ১৭০৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সরু গলি, ছোট ছোট টালির বাড়ির এই ঘিঞ্জি এলাকা এই অসাধ্য সাধন করতে পেরেছে।