কর্ণাটকের বিজেপি নেতা অনন্ত কুমার হেগড়ের সাম্প্রতিকতম মন্তব্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মােদিকে সংসদে গিয়ে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করার দাবি জানাল কংগ্রেস। বেঙ্গালুরুর ইভেন্টে তিনি বলেছিলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিল ব্রিটিশদের সম্মতিতে ও সমর্থনে গান্ধির নেতৃত্বে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল একটা নাটক। তারপরই কংগ্রেসের তরফে প্রধানমন্ত্রী মােদির অবস্থান জানতে চেয়ে সােচ্চার হয়েছে।
কংগ্রেসের মুখপাত্র আনন্দ শর্মা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মােদি ও ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার যদি মহাত্মা গান্ধির ১৫০ বছর জন্মবার্ষিকী নিয়ে আন্তরিক হন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি সংসদে গিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতা অনন্ত কুমার হেগড়ের মহাত্মা গান্ধিকে নিয়ে মন্তব্যে নিয়ে অবস্থান জানান’।
Advertisement
মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সভাপতি বালাসাহেব থোরাট বলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি সাংসদের মন্তব্য নিন্দনীয়। তাদের ভাবাদর্শ গত সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙঘ নেতারা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিরােধিতা করেছিলেন। হেগড়ের মন্তব্য থেকে বিজেপি আসল মুখােশ খুলে গেল।
Advertisement
এদিকে, বেকারত্ব নিয়ে মােদি প্রশাসনের সমালােচনায় মুখর হয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি বলেন, আমার প্রশ্নে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ২০২০-২১ বাজেট নিয়ে রাহুল গান্ধি তােপ দেগে চলেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে বেকারত্ব ইস্যু নিয়ে তােপ দেগে বলেন, ‘আমার প্রশ্নে দয়া করে ভয় পাবেন না দেশের অর্থমন্ত্রী। আমি দেশের যুব সম্প্রদায়ের হয়ে প্রশ্নগুলি করছি। আপনার দায়িত্ব ওদের জবাব দেওয়া। যুব সম্প্রদায়ের চাকরির দরকার রয়েছে, কিন্তু প্রশাসন তাদের কর্মক্ষেত্রের সুযােগ করে দিতে ব্যর্থ’। কংগ্রেস নেতা সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের অংশও টুইটারে জুড়ে দেন, যেখানে সীতারমন বলেছেন, ‘আমি যদি সংখ্যাটা প্রকাশ করতাম, তাহলে কয়েকমাস পর রাহুল গান্ধি প্রশ্ন করতেন। আমি কয়েকমাস অপেক্ষা করে তারপর সংখ্যাটা প্রকাশ করব’।
কেন্দ্রীয় বাজেটের কঠোর সমালােচনা করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি বলেন, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে দীর্ঘতম বাজেট বক্তৃতা হতে পারে, কিন্তু বাজেটে কোনও নতুন চমক নেই। বাজেটে যুব সমাজের উন্নয়নের কোনও দিশা নেই। বাজেটে শুধু শুকনাে একগুচ্ছ বুলি, কোনও কাজের কাজ হওয়ার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়নি। ২০২০ সালের বাজেটে নতুনত্ব নেই, একাধিক পুনরাবৃত্তি স্পষ্ট লক্ষ্য করা গেছে’।
তিনি বলেন, ‘অসংলগ্ন বাজেট, দেশের বাস্তব চিত্রের সঙ্গে বাজেটের কোনও মিল নেই। বাজেটে সুসংবদ্ধ ও কৌশলগত চিন্তাভানার প্রতিফলন দেখতে পাওয়া গেল না– যা নতুন প্রজন্মকে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা গ্রহণ করবে। দেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা বেকারত্ব- কর্মক্ষেত্র তৈরির প্রশ্নে বাজেটে কেন্দ্রের চিন্তাভাবনার কোনও প্রকাশ পাওয়া যায়নি’।
Advertisement



