• facebook
  • twitter
Friday, 23 May, 2025

অপারেশন সিঁদুরের জবাব পাকিস্তানের, নিহত ১৫ জন নিরীহ ভারতীয়

অপারেশন সিঁদুরের জবাব দিতে গিয়ে পাকিস্তান গোলাগুলি ও শেল ছুড়তে শুরু করে। পুঞ্চ ও তাংধর এলাকায় চলে বেপরোয়া বোমা বর্ষণ। তাতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ভারতের প্রত্যাঘাতে নিকেশ শতাধিক জঙ্গি। কিন্তু প্রত্যাঘাতের পরেও ন্যূনতম শিক্ষা নেই পাক সেনার। পাল্টা হামলা পাকিস্তানের। প্রাণ হারালেন ১৫ জন নিরীহ ভারতীয়। আহত কমপক্ষে ৪৩ জন। জানা যাচ্ছে, অপারেশন সিঁদুরের জবাব দিতে গিয়ে পাকিস্তান গোলাগুলি ও শেল ছুড়তে শুরু করে। পুঞ্চ ও তাংধর এলাকায় চলে বেপরোয়া বোমা বর্ষণ। তাতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়।

নিহতদের মধ্যে দশ জনের নাম জানা গিয়েছে। মোহাম্মদ আদিল, সালিম হোসেন, রুবি কৌর, মোহাম্মদ জাইন, মোহম্মদ আকরাম, আমৃক সিং, রঞ্জিত সিং, জোয়া খান, মোহাম্মদ রাফি, মোহাম্মদ ইকবাল। এরা প্রত্যেকে পুঞ্চ এলাকার বাসিন্দা। এঁরা প্রত্যেকেই সাধারণ ভারতীয় নাগরিক।

প্রসঙ্গত ;অপারেশন সিঁদুর’-এর আগে ভারতের কৌশলই বুঝতে পারেনি পাকিস্তান। পাক সেনার কাছে কোনও খবরই ছিল না, ভারতীয় সেনা কীভাবে স্ট্রাইক করবে। ভারতীয় সেনার তরফে যে বিশেষ ধরনের অস্ত্র, বিশেষ করে যে স্পেশ্যালাইজড ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল, তা আগে কখনও ভারতীয় সেনাবাহিনী ব্যবহার করেনি। প্রথমে জঙ্গিঘাঁটিগুলোর ছবি তোলা, তারপর সেখানে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা।

রাতের এই হামলার পর ভারতের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের কোনও সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়নি। হামলা হয়েছে শুধুমাত্র নির্বাচিত জঙ্গি ঠিকানায়। হামলায় পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের মৃত্যুর কোনও খবর নেই। তবে পাকিস্তানের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বহু সাধারণ ভারতীয়দের। পাকিস্তান তার জন্ম লগ্ন থেকেই তৎপর ছিল, কী করে কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করা যায়। তারা বরাবরই দেখানোর চেষ্টা করেছে, কাশ্মীরিদের প্রতি তাদের কত ভালোবাসা। তবে ইতিহাস সাক্ষী, প্রত্যেকবার ঠিক কী কী ভাবে পাকিস্তান কাশ্মীরিদের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে।