বাদল অধিবেশনে সংসদে ‘অপারেশন সিঁদুর’ আলোচনায় বক্তৃতা দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতীয় সেনাদের কৃতিত্ব তুলে ধরেন তিনি। সংসদে মোদী বলেন, ভারতীয় সেনারা ১০০ শতাংশ সফল। এমন হামলার কথা আগে কেউ পরিকল্পনা করতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদীর কথায়, ‘১০০ শতাংশ সফল হয়েছে সেনা। যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেভাবেই হামলা করা হয়েছে। এমন এমন জায়গায় হামলা হয়েছে যেখানে আগে কেউ ঢোকার কল্পনা পর্যন্ত করেনি।’ ভারতে হামলা চালিয়ে জঙ্গিরা এখন নিশ্চিত থাকতে পারে না বলেই উল্লেখ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, ‘জঙ্গি আক্রমণ আগেও হয়েছে দেশে। সে সময় জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে নিশ্চিন্ত থাকত। কারণ জানত, পাল্টা আক্রমণ হবে না। বরং তারা পরবর্তী হামলার প্রস্তুতি নিত। আর এখন, জঙ্গিরা ঠিক মতো ঘুমোতে পারে না। কারণ জানে, ভারত আসবে, পাল্টা মেরে চলে যাবে।’
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পরমাণু হুমকি এসেছিল। সেই হুমকি উপেক্ষা করেই নিজেদের দায়িত্ব পালনে অনড় থেকেছে ভারতীয় সেনা। মোদীর কথায়, ‘পরমাণু হুমকি এসেছিল। ৬ মে রাত এবং ৭ মে সকালে ভারত যা স্থির করেছিল, তা করেছে। পাকিস্তান কিছু করতে পারেনি। পাকিস্তানের কোণে কোণে জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছে।’ পাশাপাশি ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ‘আকাশ’-এর সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন মোদী।
Advertisement
অন্যদিকে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে মঙ্গলবার সংসদের বিশেষ আলোচনায় ছিলেন কংগ্রেস দলনেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘পহেলগামে জঙ্গি আক্রমণের পর দেশের সব বিরোধী দলগুলি ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ভারতের সেনাবাহিনীকে সমর্থন করেছিল এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সকলেই গলা তুলে এই কথা বলেছিল যে, পাকিস্তানি জঙ্গিরাই পহেলগামে নিরীহ পর্যটকদের উপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে।’
রাহুল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন যে, তিনি যুদ্ধের সময় ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন অভিযান চালানোর জন্য। পাশাপাশি রাহুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে যদি ইন্দিরা গান্ধীর অর্ধেক সাহসও থাকত তাহলে সংসদে তিনি সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করতেন, যুদ্ধে ভারতের একটিও যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত-পাক যুদ্ধবিরতিতে কোনও ভূমিকা ছিল না।
এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়
Advertisement



