• facebook
  • twitter
Wednesday, 13 August, 2025

পহেলগাম হামলার মাস্টারমাইন্ড লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডার সইফুল্লা

পহেলগামে পর্যটকদের উপর হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম জঙ্গি সংগঠন 'দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট' তথা টিআরএফ।

পহেলগামে পর্যটকদের উপর হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম জঙ্গি সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ তথা টিআরএফ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে খবর, হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী বা মাস্টারমাইন্ড হলো সইফুল্লা খালিদ কসৌরি। মঙ্গলবার দুপুরের ওই হামলায় এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও বেসরকারি সূত্রের খবর, জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৩২ জন।

জম্মু-কাশ্মীরে টিআরএফ-এর যাবতীয় জঙ্গি কাজকর্মের দেখভাল করে থাকে সইফুল্লা। তাকে সইফুল্লা কসৌরি বলেও অনেকে চেনেন। লস্করের ডেপুটি চিফ বলা হয় সইফুল্লাকে। সে লস্করের অন্যতম প্রধান ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি হাফিজ সইদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।

সইফুল্লার জীবনযাপনে বিলাসিতার ছাপ রয়েছে। অত্যন্ত শৌখিন এই জঙ্গিনেতার একাধিক দামি বিদেশি গাড়ি রয়েছে। তার নিরাপত্তা বলয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর থেকেও বেশি বলে কঠোর বলে জানিয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।

পাক সেনাবাহিনীর শীর্ষস্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে সইফুল্লার বিশেষ অন্তরঙ্গতা রয়েছে বলে খবর। তাকে সবসময় স্বাগত জানানো হয় ফুলের পাপড়ি ছুড়ে অথবা ফুলের তোড়া দিয়ে। সূত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কঙ্গনপুর এলাকায় মাস দু’য়েক আগে গিয়েছিল সইফুল্লা। পাক সেনাবাহিনীর কর্নেল জাহিদ জারিন খট্টক তাকে সেখানে বক্তব্য পেশ করতে অনুরোধ জানান। ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় বিরুদ্ধে অত্যন্ত উগ্র ভাষণ দিয়েছিল সইফুল্লা।

ফেব্রুয়ারি মাসে খাইবার পাখতুনখাওয়া এলাকায় এক সমাবেশে ভারতে হামলার হুমকি দিয়েছিল সইফুল্লা। সে বলেছিল,’ আজ ২ ফেব্রুয়ারি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ২০২৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাশ্মীর দখলের জন্য যা যা করার দরকার তা করব। আগামী দিনে আমাদের মুজাহিদিনরা হামলা আরও বাড়াবে।’ ওই সমাবেশের আয়োজন করেছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও আইএসআই।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার মূল চক্রী সইফুল্লাই। তাঁর নির্দেশেই, পাঁচ-ছয় জন জঙ্গি মঙ্গলবার দুপুরে পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় নির্বিচারে গুলি চালায়। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও অনেকে।সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গোয়েন্দা সূত্রে আরও খবর, গত বছর শতাধিক পাকিস্তানি কিশোর-যুবক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল। সেই যোগদান অনুষ্ঠানেও ছিলেন সইফুল্লা। মনে করা হচ্ছে, সেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীই কয়েক জনকে বেছে নিয়েছিল পহেলগাঁও হামলার জন্য। সেখানেই তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে পাক সেনার সহায়তাতেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল তারা।