দেশে ৩০ হাজার গ্রামে তৈরি হবে অক্সিজেন টেস্ট সেন্টার ঘরে ঘরে পৌঁছবে অক্সি-মিত্র

দেশের প্রায় ৩০ হাজার গ্রামে তৈরি হবে অক্সিজেন টেস্ট সেন্টার। ঘরে ঘরে গিয়ে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করা হবে। তার জন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষ টিম।

Written by SNS New Delhi | August 19, 2020 5:40 pm

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। (File Photo: Twitter | @AamAadmiParty)

দেশের প্রায় ৩০ হাজার গ্রামে তৈরি হবে অক্সিজেন টেস্ট সেন্টার। ঘরে ঘরে গিয়ে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করা হবে। তার জন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষ টিম। প্রয়োজন হলে পালস অক্সিমিটার পৌছে দেওয়া হবে বাড়ি বাড়ি।

করোনা মোকাবিলায় নতুন পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করলো দিল্লির আপ-সরকার। হোম আইসোলেশনে থাকা করোনা রোগীদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য ঘরেঘরে পালস অক্সিমিটার পৌছে দেওয়ার কথা বলেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

ফের নতুন ঘোষণা করে তিনি জানালেন করোনা সংক্রমণে মানুষের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে। সেই কারণেই তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছেন রোগীরা। মৃদু সংক্রমণেও অনেকের শ্বাসের কষ্ট হচ্ছে। তাই শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল পরিমাপ করতে পারলেই সতর্ক হওয়া যাবে। সে জন্য ঘরে ঘরে গিয়ে সার্ভে করা দরকার। তাই দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতেও অক্সিজেন সেন্টার খোলা হবে। সেখানে কাজ করবে স্পেশাল টিম। এরাই হবেন অক্সি-মিত্র।

ভিডিও কনফারেন্সে অক্সি-মিত্র প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন- করোনা সঙ্কটের সময় দেশের প্রতিটি মানুষের পাশে থাকা দরকার । বিশেষ করে গ্রাম বা প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে মানুষের শারীরিক অবস্থার খেয়াল রাখার জন্যই অক্সি-মিত্র প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।

স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতি বাড়িতে পালস অক্সিমিটার পৌছে দেওয়ার কাজ করবেন। গ্রামে গ্রামে খোলা হবে অক্সিমিটার। কেজরিওয়ালের কথায়, বাড়িতেই কোয়ারান্টাইনে থাকবেন যারা তাদের যদি হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় বা অক্সিজেনের দরকার পড়ে, তাহলে তার ব্যবস্থা করনে অক্সি-মিত্ররা। পালস অক্সিমিটারে ধরা পড়বে রোগীর শরীরে অক্সিজেনের অভাব হচ্ছে কিনা বা হলে কতটা পরিমাণ হচ্ছে। বিপদের ঝুঁকি থাকলে আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

অক্সিমিটার হল এমন একটি যন্ত্র যা দিয়ে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করা হয়। অক্সিমিটার থেকে নির্গত রেড ও ইনফ্রারেড রশ্মি দ্বারা পরিমাপা হয় রক্তের শতকরা কতভাগ হিমোগ্লোবিনে অক্সিজেন আছে। মুলত ব্লাড অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল পরিমাপ করে এই যন্ত্র। যদি এই মাত্রা ৯৫ শতাংশ বা তার বেশি থাকে তাহলে সেটাকে স্বাভাবিক অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল ধরা হয়। ৯০ শতাংশ বা তার নিচে নেমে গেলে তখন চিন্তার বিষয়।

এই ডিভাইস ধরে দেবে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কতটা কমেছে। সেই সঙ্গে পালস রেটে কী বদল হচ্ছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট শুরু হয় রোগীর। হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, হাঁপানি, নিউমোনিয়া, রক্তাল্পতা, হার্টের রোগীদের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা নির্ণয় করা হয় পালস অক্সিমিটারে।