ইন্ডিয়া জোটের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর এবার একাই ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এআইএমআইএম। গত নির্বাচনে মাত্র ২০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল দলটি। এবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ১০০ আসনে লড়াই করার কথা ঘোষণা করেছেন দলের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
ওয়েইসি দাবি করেছেন, এআইএমআইএম বিহারে তৃতীয় বিকল্প হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। বহুদিন ধরে বিহারের রাজনীতি দ্বিমুখী, যার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং কংগ্রেস-আরজেডি জোট। এআইএমআইএম-এর রাজ্য সভাপতি আখতারুল ইমান বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে ১০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার। এনডিএ এবং মহাগঠবন্ধন উভয়কেই আমাদের উপস্থিতি উপলব্ধি করতে বাধ্য করা হবে।’
Advertisement
ইমান আরও দাবি করেছেন, ‘২০২০ সালে মহাগঠবন্ধন আমাদের বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ ভোট বিভক্ত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এবার তা আর করা সম্ভব হবে না। আমি আরজেডি সভাপতি লালু প্রসাদ ও তেজস্বী যাদবকে চিঠি লিখে জোটে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি। আমরা তৃতীয় ফ্রন্টের সম্ভাবনা বোঝার জন্য সমমনস্ক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি।’
Advertisement
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের নির্বাচনে, উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর দল বিএসপি এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার প্রাক্তন দল আরএলএসপি-র সঙ্গে জোট করে এআইএমআইএম লড়েছিল। বর্তমানে উপেন্দ্র কুশওয়াহা রাষ্ট্রীয় লোক দল গঠন করে এনডিএ-তে যোগ দিয়েছেন।
গত নির্বাচনে ২০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পাঁচটি আসনে জয়ী হয়েছিল এআইএমআইএম। বিশেষজ্ঞদের মতে, দলটি মূলত আরজেডি, কংগ্রেস ও বামেদের ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব বিস্তার করেছে। যাদব ও মুসলিম ভোটারদের মধ্যে এআইএমআইএম কিছু অংশ নিজেদের দখলে আনতে পারলে, তাতে বিজেপি’র সুবিধা হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিহারে মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশেরও বেশি মুসলিম। রাজ্য বিধানসভায় তাদের এই অনুপাতে প্রতিনিধিত্ব কখনও হয়নি। এআইএমআইএম এই প্রসঙ্গকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের মধ্যে প্রভাব সৃষ্টি করতে চাইছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন আগামী নভেম্বরেই। ৬ ও ১১ নভেম্বর দুই দফায় ভোট গ্রহণ হবে। গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হবে ১৪ নভেম্বর। এই নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যেই ভোটারদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
Advertisement



