• facebook
  • twitter
Thursday, 21 August, 2025

‘অপারেশন সিঁদুর’-এ মগজাস্ত্রের ব্যবহারই বেশি, গোপন তথ্য পেতে পাঠানো হয় ‘ডামি যুদ্ধবিমান’

ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে পাকিস্তান নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে গোপন জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। চিনের তৈরি এইচকিউ-৯ মোতায়েন করেছিল তারা।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

পহেলগাম হামলার প্রত্যাঘাতের জন্য ভারতের বায়ুসেনা বিভাগ সামরিক অস্ত্রের চেয়ে মগজাস্ত্রকেই বেশি কাজে লাগিয়েছিল। ৭ মে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের পরে পাক সেনাবাহিনীর পাল্টা প্রত্যাঘাতেও সেই পদ্ধতি নিয়েছিল ভারতীয় সেনা বাহিনী। ফলে ভারতের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র রুখতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। উল্টে একের পর এক কৌশল অবলম্বন করে পাকিস্তানের রেডার ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। ওদের সেনা ঘাঁটি এমনকি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ঘোল খাইয়ে দেয় ভারতের পাঠানো কয়েকটি ‘ডামি যুদ্ধবিমান’।

কিন্তু পাক বায়ুসেনা বিভাগ বিষয়টি বুঝতে না পেরে ওই ‘ডামি যুদ্ধবিমান’-এর উপর পাল্টা হামলা চালায়। আর এতেই ধরা ভারতীয় সেনা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যায় তাদের লুকিয়ে রাখা রেডারের অবস্থান। সেই সূত্র ধরেই পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও রেডারকে নিশানা করে হামলা চালায় ভারতের বায়ুসেনা বাহিনী। ভারতের সেই হামলায় কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে যায় পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও রেডার যন্ত্র। এভাবেই সফল হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’।

জানা গিয়েছে, ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে পাকিস্তান নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে গোপন জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। চিনের তৈরি এইচকিউ-৯ মোতায়েন করেছিল তারা। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সেই নতুন অবস্থান অজানা ছিল ভারতের। কিন্তু ভারতের পাঠানো ‘ডামি যুদ্ধবিমান’-এর টোপে পাকিস্তান পা দিতেই তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঠিক অবস্থান ধরা পড়ে যায়। এর ফলে তাতে আঘাত হানতে সুবিধা হয়। অন্যদিকে পাকিস্তানের ছোড়া ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র নষ্ট করে দেয় ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতির’। দেশীয় প্রযুক্তিতেই এই প্রাচীর তৈরি করেছে ভারত। আর সেই ‘আকাশতির’-ই রুখে দিয়েছে পাকিস্তানের হামলা।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগামের মনোরম পর্যটন কেন্দ্র বৈসরণ উপত্যকায় আচমকা হামলা চালায় কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় ২৫ জন নিরীহ পর্যটক এবং একজন স্থানীয় টাট্টু চালকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরপরই ভারত জঙ্গিদের ঘাঁটি নিশানা করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেন, এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে যারা যারা জড়িত তাদের খুঁজে খুঁজে মারা হবে। এরপরই স্যাটেলাইট প্রযুক্তির সাহায্যে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিগুলির উপর নজরদারি শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বিজ্ঞানীরা। কাজে লাগানো হয় বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যও। গত ৭ মে গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে ড্রোন হামলায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। ভারতীয় সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই হামলায় কমপক্ষে ১০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান দাবি করে, এই হামলায় সাধারন মানুষ, মহিলা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ভারতের সেই প্রত্যাঘাতের জবাবে ৮ ও ৯ মে পাক বায়ুসেনা বিভাগ ভারতের একাধিক শহর ও সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। পাকিস্তানের সেই হামলায় প্রতিটি মিসাইল ও ড্রোন প্রতিহত করে ভারত। এরপরই পাকিস্তানের একাধিক সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে সেদেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অকেজো করে দেয়। কার্যত কোমর ভেঙে যায় পাক সেনাবাহিনীর।