ওড়িশার বালেশ্বরে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রবিবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ওড়িশা ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ধৃতরা হলেন – কলেজের এবিভিপি নেতা সুভাত সন্দীপ নায়েক এবং জ্যোতিপ্রকাশ বিশ্বাল। ফকির মোহন কলেজে অধ্যক্ষের ঘরের বাইরে যখন গায়ে আগুন দিয়েছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী, সেই সময় সন্দীপ ও জ্যোতিপ্রকাশ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কলেজের সহকারী অধ্যাপক সামিরা কুমার সাহু এবং কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ দিলীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রবিবার সন্দীপ ও জ্যোতিপ্রকাশকে বালেশ্বরের সাব-ডিভিশনাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিজেএম)-এর আবাসিক অফিসে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক দু’জনের জামিনের আবেদন খারিজ করে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত জ্যোতিপ্রকাশ ওই কলেজেরই পড়ুয়া। সন্দীপ ওই কলেজের ছাত্র না হলেও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের রাজ্য যুগ্ম সম্পাদক। ওড়িশা ক্রাইম ব্রাঞ্চের ঊর্ধ্বতন এক কর্তা জানিয়েছেন, বালেশ্বর কলেজের ওই ছাত্রীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁচাতে গিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রকাশ। গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। কটকের স্থানীয় এক হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেই কারণেই প্রথমে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় প্রথমে জ্যোতিপ্রকাশকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়নি। কিন্তু পরে তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই সামনে এসেছে নতুন তথ্য। সেই কারণেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই জ্যোতিপ্রকাশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Advertisement
প্রসঙ্গত, জুলাইয়ের শুরুতে ওড়িশার বালেশ্বরের ফকির মোহন কলেজে অধ্যক্ষের ঘরের বাইরে গায়ে আগুন দেন এক ছাত্রী। শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল তাঁর। গত ১৫ জুলাই ভুবনেশ্বর এইমসে মারা যান তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন ওই ছাত্রী। কিন্তু সেই কথায় অধ্যক্ষ গুরুত্ব দেননি। নির্যাতিতার দাবি, অভিযুক্ত অধ্যাপক তাঁকে যৌন হেনস্থার পাশাপাশি মানসিক নির্যাতনও করছিলেন। অধ্যক্ষ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, অভিযোগ ফিরিয়ে না নিলে তাঁকেই আত্মহত্যা করতে হবে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে তাঁর ঘরের বাইরে গায়ে আগুন দিয়েছিলেন ছাত্রী।
Advertisement
Advertisement



